চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২: আহত অর্ধশতাধিক!

পবিত্র ঈদুল আযহারকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতো এবারও চাঁদপুরে মানুষ বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন। যার ফলে ছুটিতে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো ছোট-বড় সড়ক দুঘর্টনা ঘটেছে।

ঈদের আগের দিন ২১ আগস্ট থেকে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন ২৭ তারিখ সোমাবার পর্যন্ত এসব দুঘর্টনায় এক শিশুসহ দুইজনের করুন মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন সায়েম হোসেন (৮) ও ওমর ফারুক গাজী (৩৮)। এছাড়াও শিশু বৃদ্ধসহ আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত নারী- পুরুষ ও শিশু । দূর্ঘটনায় আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় ২৪ আগস্ট দুপুরে হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামে অটোবাইকের আঘাতে সায়েম নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশুর করুন মৃত্যু হয়। নিহত শিশু ওই উপজেলার গাজীর বাজারস্থ কমলাপুর গ্রামের শামসল হক গাজীর ছেলে।

২৬ আগস্ট সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে অটোরিক্সা উল্টে এক যুবক নিহত ওমর ফারুক গাজী (৩৮) নামে এক যুবক। এই ঘটনায় আহত হন আরো ৪জন যাত্রী।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এবং ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদখার দোকান, মহমায়া, মুন্সিরহাট, বহরিয়া , চান্দ্রা, রঘুনাথপুর, বাবুরহাট, ওয়ারলেস,বাগাদী , হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, ইসলামপুর গাছতলাসহ বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবাইক, মোটর মাইকসহ ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু এবং বৃদ্ধসহ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত৫০ জনেরও বেশি নারী পুরুষ আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। কেউ এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আবার অনেক আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও প্রেরণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত কর্মচারি সরোয়ার হোসেন ও ছালামত মিয়া রেজিস্ট্রার সূত্রে জানান, ঈদের একদিন আগে থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি নারী, পুরুষ ও শিশু যাত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

এদের মধ্যে যারা একটু বেশি আঘাতপ্রাপ্ত তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর যাদের অবস্থা মোটামুটি ভালো তারা প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম

Share