চাঁদপুর

চাঁদপুর ডিবি অভিযানে লিবিয়ায় অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে লিবিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের অপহরণকারী চক্রের সদস্যকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি পুলিশের দাবি অনুযায়ী আটককৃত ব্যক্তি অপহরণ চক্রের মূল হোতা মোঃ দেলোয়ার (৪০)।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসানুজ্জামান লাবু ও তার সঙ্গীয় ফোর্স মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার ডোকলাখালি গ্রামের তার বসত বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ থেকে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় জানানো হয়, দেলোয়ার আন্তর্জাতিক অপহরণকারী চক্রের সদস্য। দেলোয়ার একজন বাংলাদেশি কিন্তু লিবিয়ায় অবস্থান করে লিবিয়ার নাগরিক ও বাংলাদেশের আরো পতিপয় বিপথগাদী সদস্যদের সহায়তায় নিরিহ শ্রমিক বাংলাদেশীদের জিম্মি করে। লিবিয়ায় নিরিহ শ্রমিকদেরকে জিম্মির পর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হইতে মুক্তিপনের টাকা সংগ্রহ করে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি গত ১৬ অক্টোবর সুকৌশলে বাংলাদেশে এসে নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিল। সে একজন আন্তর্জাতিক মাফিয়া/অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। লিবিয়ার এ্যাম্বাসিতেও তার বিরুদ্ধে একধিক অভিযোগ হওয়ায় তার নাম মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় আছে মর্মে লিবিয়ার এ্যাম্বাসির সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়।

আটক অভিযুক্ত বিপথগামী কিছু বাংলাদেশী ও লিবিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠির যোগসাজসে লিবিয়ায় অবস্থান করাকালে অনেক নিরিহ বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করে লিবিয়ায় বাংলাদেশের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

উক্ত আসামী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে লিবিয়ায় অবস্থানরত মারুফের ভাই রুবেল বাদী হতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অত্র মামলার ভিকটিম মারুফকেও একইভাবে সে ও আসামী শাওন লিবিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সহায়তায় আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে তা ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কল করে দেখিয়ে অত্র মামলার বাদীর কাছ থেকে ৯ লাথ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপন আদায় করেছে।

এদিকে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহসানুজ্জামান লাবু মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘এ অভিযান সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছেন এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের এ প্রথম ধরা হয়েছে। এর আগে দেশের কোনো বাহিনী এরকম সরাসরি জড়িতদের ধরতে পারেনি। কারণ তারা বিদেশেই থাকে। তবে এর আগের অপহরণের মামলায় সাধারণত টাকা লেনদেনে নিযুক্তদের ধরা হয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত আসামী দেশে চলে আসায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা তাকে সরাসরি ধরতে সক্ষম হয়েছি।’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Share