চাঁদপুর

চাঁদপুর ডাকাতিয়ার পাড়ে নির্মিত হচ্ছে শিশুপার্ক

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপার লীলাভূমি নদীমাতৃক জেলা চাঁদপুর। এক সময়ের ‘ইস্টান গেট অব ইন্ডিয়া’ নামে খ্যাত চাঁদপুরে বর্তমান বিশ্ববাসী চেনে ইলিশের রাজধানী হিসেবেই। পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া এ ত্রিনদীর মিলনস্থল (মোহনা) বড় স্টেশন মোলহেড, শহরের বুকের উপর দৃষ্টিনন্দন লেক, অঙ্গীকার ভাস্কর্য, ডাকাতিয়ার নয়নাভিরাম রুপসহ পর্যটনের অপার সম্ভবনায় জেলা চাঁদপুর।

অথচ এ জেলাতে নেই কোনো অধুনিক শিশুপার্ক অথবা একটি ভোটানিক্যাল গার্ডেন। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো এখানে একটি উন্নত শিশুপার্ক নির্মাণ করা হোক। অবশেষে চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে।

চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়ার পাড়ে মেরিন একাডেমীর পেছনে নির্মিত হতে যাচ্ছে অধুনিক শিশুপার্ক কাম ভোটানিকাল গার্ডেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত হস্তক্ষেপে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধিনে প্রায় ১৫ একর জমির উপর এই আধুনিক শিশুপার্ক তথা ভোটানিক্যাল গার্ডেনটি নির্মিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল জানান, ‘আমি চাঁদপুরে এসে জানতে পারি ২০১০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরে এসে এখানে একটি অধুনিক শিশুপার্ক নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অথচ পরবর্তিতে অনেকগুলো বছর পার হলেও বিষয়টি নিয়ে আর কোনো উদ্যোগ বা আলোচনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন এই কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তিতে আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে চাঁদপুরে যোগদান করার পরে বিভিন্ন সভা সেমিনারে এ জেলায় একটি শিশুপার্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। একপর্যায়ে ঢাকায় ডিসি সম্মেলনে চাঁদপুরে শিশুপার্ক কাম ভোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করাই। বর্তমানে পার্ক কাম ভোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্য ১৪ একর ৯৮ শতাংশ জমি নির্ধারণসহ সকল প্রকার কাজ সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি সহসাই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।’

জেলা প্রশাসক আরো জানান, মূলত পৌর এলাকায় শিশুপার্ক নির্মান হলে তার অর্থ পৌরসভা বহন করে। কিন্তু আমরা অত্যান্ত সৌভাগ্যবান যে, প্রধানমন্ত্রী একান্ত সদিচ্ছার ফলে চাঁদপুরের শিশুপার্কটি পৌরসভার অধিনে না হয়ে সরকারের নিজস্ব অর্থে স্থানীয়র সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে হতে যাচ্ছে। সব শেষে তিনি জানান, আমরা আশা করি ২০১৬ সালের মধ্যেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।

চাঁদপুর পৌর নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুপার্ক নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণসহ প্রথমিক পর্যায়ের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমি যতটুকু জানি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ২০১৬ সালের মধ্যেই শিশুপার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারবো।’

চাঁদপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল হক জানান, ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে শিশুপার্ক কাম ভোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্য জমি নির্ধারণ হয়েছে। এ জমিটি চাঁদপুর শহরের ইচলী এলাকার মেরিন একাডেমির পেছনে। তিনিও জানান প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষা।
আশিক বিন রহিম[/author]

: আপডেট ১:৩০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share