চাঁদপুর টাইমস সম্পাদকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

দৈনিক চাঁদপুর সময়, চাঁদপুর টাইমস ও দৈনিক মতলবের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশসক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলের বাসা, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও পত্রিকা অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দৈনিক চাঁদপুর সময়, চাঁদপুর টাইমস ও দৈনিক মতলবের আলো পত্রিকার জেলা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ।

তারা বলেন,সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলের বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল ও পত্রিকা অফিসে হামলা অত্যান্ত দুঃখজনক। সম্পূর্ণ বিনা উসকানীতে এ ন্যাক্কারজনক হামলায় আমরা বিস্মিত হয়েছে। একজন সম্পাদক সাংবাদিকদের নিয়ে কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেয়া হয়নি।

আরও পড়ুন…   চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি মানিকের নির্দেশে ইব্রাহিম জুয়েলকে হ*ত্যার চেষ্টা

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৯ ডিসেম্বর সোমবার ইব্রাহীম জুয়েল এর বাসার মূল গেইট ভেঙ্গে হামলাকারী কাজী ইব্রাহীম জুয়েলকে ঘেরাও করে হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায় এবং তার পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন যেন না করেন তার জন্য হুমকি দেন।

এসময় তারা জুয়েলের কাছে সিসি টিভির ডিভিআর ও কম্পিউটার ল্যাপটপ তুলে দেয়ার দাবি জানায়। এরপর তারা অস্ত্রের মুখে জোর পূর্বক অফিসের সকল কম্পিউটার ও সিসিটিভির ডিভিআর ও ক্যামেরাসহ সব খুলে নিয়ে যায়। তবে ইব্রাহীম কাজী জুয়েলকে পুলিশের সহযোগিতায় নিরাপদে সরিয়ে নেয় উপস্থিত বিএনপির, যুব দল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীরা।

এদিকে যখন তারা নিশ্চিত হয়েছে যে এখানে আর কোনো সিসিটিভি কাজ করছে না তখন তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল ও পত্রিকা কার্যালয়ের সব কম্পিউটার, দামি মালামালসহ সব লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এর সাথে সড়কে যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে উপস্থিত উৎসুক লোকজনের উপর হামলা চালায়। এছাড়া তারা সড়ক থেকে হোটেল ও অফিসের দিকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়ে দরজা জানালা সব ভেঙ্গে ফেলে। এসময় লুটপাটকারীরা জানতে চান এসব কর্মকান্ড সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হচ্ছে কিনা। তাদেরকে নিশ্চিত করা হলেও তারা আরো সিসিটিভির ডিভিআর এর জন্য বাসা,অফিস কক্ষ,হোটেলসহ সবখানে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোথাও কোন ডিভিআর খুঁজে না পেয়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী ও সাংবাদিকদের উপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে ব্যাপকভাবে আহত করে।

 

অপর দিকে ইব্রাহীম জুয়েলকে না পেয়ে তাঁর একমাত্র ছেলে আফতাবকে কাছে পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাকে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তারা তাকে ঢাকায় রেফার করলে তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা আসঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। এদিকে হামলায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সাংবাদিকসহ প্রায় শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে এ নেক্কারজনক ঘটনায় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার রবিক উদ্দিন বলেন, ‘ আমরা সব জেনেছি এবং দেখেছি সঠিক দতন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিজস্ব প্রতিবেদক,
১০ ডিসেম্বর ২০২৪

Share