ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার জীবনপুর (সদর) ঝুঁকিপূর্ণ ডাকঘরের ভিতরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসের কাজ-কর্ম চালাতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের অভাবে ভেতরে-বাইরে ফাটল ধরেছে। ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। ঘরের ভিতরের ছাদের ভীমগুলো ফেটে চৌঁচির হয়ে গেছে। যে কোনো মহূর্তে বড় আকারে খসে পড়ে বড় ধরণের অঘটন ঘটাতে পারে।
তবুও পেটের-দায়ে ফাটল ছাদের নিচে বসে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অফিসে কাজ করছেন ৬ জন কর্মর্কতা ও কর্মচারী। এতে কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি নেই।
খোঁজ জানা যায়, বৃটিশ আমলে এ উপজেলায় জীবনপুর নামে ডাকঘরের কাজ শুরু হয়। সে সময় হতে স্থায়ী ঘরের অভাবে বিভিন্ন যায়গায় এর কার্যক্রম চলতো। ১৯৮৪ সালে উপজেলা সদরে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৪ শতক জমিতে এক আবাসিক সংযুক্ত স্থায়ী অফিস ভবন তৈরি করা হয়। ই সময় থেকে স্থায়ীভাবে এখানে ডাকঘরের কার্যক্রম চলতে থাকে।
গত ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে নামেমাত্র মেরামত ও রংয়ের কাজ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পূর্নাঙ্গভাবে এ ভবনটির কোন সংস্কার না করায় ভবনটির ছাদ ড্যামেজ হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ চূয়ে ঘরের ভিতর পানি পড়ে অফিসে থাকা মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে যায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পোস্টমাস্টার শ্রী অনিল চন্দ্র রায় চাঁদপুর টাইমসকে জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই ভবনে কাজ করতে হচ্ছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই মর্মে ৩০/০৯/২০১৪ইং তারিখে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল (দিনাজপুর) মহোদয়কে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:৩০ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ