পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। এ দিনটি সাম্য, সৌহার্দ, ভালোবাসা ও মিলনের মহিমা নিয়ে আসাদের মাঝে উপস্থিত হয়। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। নাড়ির টানে শহরের কর্মজীবীরা এখন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ।
বাড়ি ফেরা মানুষগুলো নিয়ে বাস,ট্রেন,লঞ্চ,স্টীমার,ট্রলার,সিএনজি ও প্রাইভেট গাড়িগুলি বিরামহীন গতিতে চলছে তো চলছে যেন তিল ঠাঁই আর নাহিরে। ট্রেন ও বাসগুলিতে উপছে পড়া ভিড় লক্ষণীয় ।আত্মীস্বজনের সাথে ঈদ করতে আসা বাঙালীর একটি সংস্কৃতি। ঈদ সার্বজনীন মানব প্রেমের শিক্ষা প্রদান করে। ্এ মানব প্রেমের মাধ্যমেই ত্বরান্ব্তি হতে পারে শান্তি।
ঈদের আনন্দ-উৎসব এ নৈতিক শিক্ষাই প্রদান করে।রহমত,মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানের সিয়াস সাধনা শেষে শাওয়ালের চাঁদ উদিত হলেই খুশির ধারা বইতে শুরু করে। একজন মানুষ ইসলামের আত্মশুদ্ধি,সংযম,মহানুভবতা,ত্যাাগ,দানশীলতা,উদারতা,ক্ষমা,সাম্য ও মানুষ্যত্বের গুণাবলী ধারণ করে রোজাদারগণ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠেন।
আমাদের দেশে এ দিনটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে সবাই মিলে মিশে দিনটিকে উৎসবমুখর করে তোলে। তাই সমাজ ও সংস্কৃতিতে ঈদের আগমন তাৎপর্যপূর্ণ। রমজানের বড় শিক্ষা হলো সংযম। হিংসা ও বিভেদের দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সংযম ও পরিমিতবোধ। যা বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বলা যায়।
সারা বিশ্বে আজ এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। সন্ত্রাস,গুম, সহিংসতা, জঙ্গি কর্মকান্ড নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবতাবোধ আজ চরমভাবে উপেক্ষিত।
পবিত্র রমজান মাসে রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি এন্ড রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার যে রক্তাক্ত চিত্র দেখা গেলো তা আমাদের স্তম্ভিত করেছে। এ লোমহর্ষক ঘটনায় হতভাগ করেছে বিশ্ববাসীকে। এ পরিত্রাণ থেকে রক্ষা পেতে নৈতিক মূল্যবোধের মানবীয় শিক্ষা অনুশীলন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশ্বের প্রায় ১শ’কোটির অধিক মুসলমান যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও অনাবিল আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে। তাই এক অর্থে ঈদ হলো মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব।
রমজানের শিক্ষা ও তাৎপর্য আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হোক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে ঈদ উৎসবের আনন্দ হোক সবার সমান।
আল্লাহ হাফেজ ।
সম্পাদকীয় : আপডেট,বাংলাদেশ সময় ১০: ১৫ এএম,১৫ জুন ২০১৮,শুক্রবার
ডিএইচ/এজি