ফিচার

চাঁদপুর টাইমস ও আমার সাংবাদিকতার অগ্রগতি : কবির হোসেন মিজি

‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ের।’ পাঠক হয়তো ভাবছেন লেখার শুরুতেই কেনো এমন একটি গানের কথা দিয়ে শুরু করলাম। কথায় আছে “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। কারণ ছোট বেলা থেকেই শিল্প সংস্কৃতি আর লেখালেখিকে ভালোবাসি তো তাই, কিছু লেখার ক্ষেত্রে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও গান, কবিতার কথা এসে পড়ে।

যাই হোক পাঠক, বলছিলাম চাঁদপুরের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁদপুর টাইমসের কথা। যে চাঁদপুর টাইমসে নিজেকে যুক্ত করার পর থেকে আমার কাজ এবং জানার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আর কি সেই অগ্রগতি তা বললে হয়তো কেউ, কেউ আমাকে জ্ঞানহীন কিংবা গণ্ড মুর্খ ভাবতে পারেন।

তাহলে শুনুন সে অগ্রগতির কথা। আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ বছর কিংবা ৪ বছর পূর্বে যখন চাঁদপুরের বহুল প্রচারিত দৈনিক জনপ্রিয় চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। তখন কেন জানি অনালাইন পত্রিকায় কাজ করার শখ হলো। আর সেই শখ হওয়ার পিছনেও সামন্য একটা কারণ ছিলো। তা হলো, যখন চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করেছি তখন আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক কিছুই জানতাম না। শুধুমাত্র ফেসবুক টাচ করে নিচ থেকে উপরে উঠে বিভিন্ন জনের পোস্ট দেখতাম। কারো সহযোগিতা ছাড়া নিজে কোন কিছু পোস্ট করতে পারতাম না। ফেসবুক চালাতে গিয়ে দেখতাম সহকর্মী অনেকেই তাদের ভালো নিউজ গুলো নিজেদের ফেসবুকে শেয়ার করেন। যদিও তখন থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের সকল নিউজ গুলো অনলাইনে পোস্ট হতো। কিন্তু আমি তা শেয়ার করতে পারিনি কিংবা করার আগ্রহও তেমন ছিলোনা। তখন কাগজে লিখে সব নিউজ অফিসে জমা দিতাম। যখন সেই প্রিন্ট পত্রিকাটি থেকে নিজে কর্মবিরতি নেই। তার কয়েকদিন পরেই একদিন কথা হয় চাঁদপুর টাইমসের সম্পাদক ও প্রকাশক শ্রদ্ধেয় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলের সাথে।

কথায়, কথায়, চাঁদপুর টাইমসে কাজ করার আগ্রহের কথা জুয়েল ভাইকে জানালাম। জুয়েল ভাইও কোন অজুহাত কিংবা আমাকে নিরাশ না করে সম্মানি প্রদানসহ কাজ করার সুযোগ করে দিলেন। কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হলো চাঁদপুর টাইমসের সাথে আমার পথচলা। তবে এই পথচলা এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে যার সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা এবং উৎসাহ ছিলো তার কথা না বললেই নয়।

তিনি হলেন, যার হাতের সংস্পর্শে আমাদের নিউজ গুলো নিজেদের চেহেরা সুন্দর করে চাঁদপুর টাইমসে প্রকাশ পায়, টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন ভাই। মানুষটি দেখতে ছোট হলেও কাজের দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে অনেক, অনেক বড়। যার প্রচেষ্টায় টাইমসে নিউজ করার প্রথম দিন থেকেই আমি কম্পিউটার এবং ল্যাপটবে টাইপ করা শিখতে পেরেছি। তারপর দেখিয়েছেন কিভাবে মেইলে ঢুকে ছবি, নিউজ এটাচ্ করতে এবং পাঠাতে হয়। এসব কিছু শিখানোর পাশাপাশি দেলোয়ার ভাই তাগিদ দিতেন নিজেকে আরো আপডেট করার জন্য। মানে কোন সংবাদ থাকলে তা টাইপ করে তাৎক্ষণিক পাঠিয়ে দেয়ার জন্য।

এছাড়াও ফেসবুকে পোস্ট, ডিলিট, ট্যাগ, গ্রুপ কল ডিলিট সহ অনেক কিছুই শিখেছি চাঁদপুর টাইমসে কাজ করার সুবাদে। এমন কি যেকোন ভালো এবং তথ্য বহুল নিউজ করার পর তা গুরত্ব দিয়ে প্রকাশ করে নিউজ করার প্রতি অনেক উৎসাহ প্রদান করেছেন।

পাঠক আমার দৃষ্টিগুন থেকে আমি মনে করি আমার সাংবাদিকতার অগ্রগতি আগের তুলনায় অনেকটা বেড়ে গেছে। আমি অনেক আপডেট হতে পেরেছি, পেরেছি হেয়ালীপনা থেকে বেরিয়ে কাগজে কলমে নিউজ না লিখে, তা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলে নিউজ টাইপ করে তাৎক্ষণিক তা পাঠাতে।

লেখক পরিচিতি : কবির হোসেন মিজি
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্টেড : চাঁদপুর টাইমস
গীতিকার ও লেখক
সাহিত্য ম্যাগাজিন : জানালা।

Share