চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামে বাশেঁর বেড়া দিয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ পাঁচ শতাধিক লোকের পথ অবরুদ্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন সংবাদ চাঁদপুর টাইমসসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াতে প্রচারের পর নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি।
পরে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনের সহায়তা অবশেষে বাশেঁর বেড়া উচ্ছেদ করা হয়। এতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী চলাচলের পথ সুগম হয়েছে।
=> প্রকাশিত সংবাদ: কচুয়ায় পাঁচ শতাধিক লোকের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ
উপজেলার সেঙ্গুয়া মিয়াজী বাড়িতে বাঁশের বেড়া দিয়ে একই গ্রামের আব্দুল মান্নান গংরা বাঁশের বেড়া স্থাপন করায় পাশ^বর্তী স্কুল শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও এলাকাবাসীর পথ চলাচলে বিড়ম্বনা হয়। বিশেষ করে মিয়াজী বাড়ির ভুক্তভোগী পরিবারের গবাদি পশু, বাড়ির লোকজনের চলাচলে নানান ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গনম্যাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। সংবাদের প্রচারের পর অবশেষে ওই বাশেঁর বেড়া খুলে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী আবু তাহের,এবায়েদুল,মুরাদ ও জেসমিনসহ একাধিক এলাকাবাসীরা জানান, সেঙ্গুয়া মিয়াজী বাড়ীর আব্দুল মান্নান গংরা জোরপূর্বক ভাবে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির ভিতরে বাশেঁর বেড়া দিয়েছে, ফলে আমরা চলাচল করতে পারছি না। বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়। এতে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে ওই বেড়া তুলে দেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী এলাকাবাসী গনমাধ্যম কর্তৃপক্ষ ও রিপোর্টারকে ধন্যবাদ জানান।
কচুয়া থানার এসআই মো. সদীপ্ত শাহিন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করলে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাশেঁর বেড়া তুলে দেয়া হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: আলমগীর হোসেন বলেন, পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে বাঁশের বেড়া দিয়ে পথ অবরুদ্ধ করার অভিযোগ এমন সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ দেখতে পাই। পরে পুলিশের সহায়তা বাঁশের বেড়া তুলে দেয়া হয়।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৩ মার্চ ২০২৩