চাঁদপুরের অনলাইন জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল চাঁদপুর টাইমসে পত্রিকায় হাজীগঞ্জে নিদিষ্ট বয়সের আগেই বয়স্ক ভাতা নিচ্ছেন নারী প্যানেল চেয়ারম্যান এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মাথায় সেই নারীর বয়স্ক ভাতা বাতিল করলেন উপজেলা প্রশাসন। বয়স না হওয়ার পরও গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত বয়স্ক ভাতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত এবং বিষয়টি তিনি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য দেওয়ার পর তাঁর প্রাপ্ত ভাতার কার্ডটি বাতিল করার নির্দেশনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
৩০ মার্চ বুধবার নিউজটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের নজরে পড়লে তার কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। একই দিন বিকালে কার্ড বাতিলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মোসা. মাহফুজা বেগম নামের ওই নারী প্যানেল চেয়ারম্যান হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত-৩ (ওয়ার্ড নং- ৭, ৮ ও ৯) ওয়ার্ডের নারী সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ির মৃত হাফিজ উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বর্তমান বয়স গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৫২ বছর ৭ মাস ২৮দিন। অর্থ্যাৎ তাঁর জন্ম তারিখ ২ আগস্ট ১৯৬৯ইং।
জানা গেছে, যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নারীদের বয়স্কভাতা পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৬২ বছর। মোসা. মাহফুজা বেগম হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গত পরিষদে অর্থ্যাৎ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার মা মরহুম তফুরেন্নেছার প্রাপ্ত বয়স্ক ভাতার কার্ডটি তার নামে প্রতিস্থাপন করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন।
এরপর তফুরেন্নেছার নামে তার মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ডটি প্রতিস্থাপন হলে তিনি ২০২০ সাল থেকে ভাতার টাকা ভোগ করে আসছেন। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্মতারিখ অনুযায়ী ওই সময়ে তার বয়স ছিল প্রায় ৫১ বছর। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জুনের আগে অনলাইন (ডিজিটাল) সিস্টেম না থাকার কারণে কিছু অনিময় হয়েছে। যার ফলে অনেকে ভাতা ভোগ আসছিলেন।
পরবর্তী সময়ে এসব লোকদের চিহিৃত বা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের ৩০ জুনের পর থেকে তথ্য গোপন করে নতুনভাবে ভাতা ভোগ করার সুযোগ নেই। অর্থ্যাৎ নিয়ম অনুযায়ী বয়স না হলে কারো পক্ষে বয়স্ক ভাতার সুবিধাটি গ্রহণের কোন সুযোগ নেই।
বাতার কার্ড বাতিলের বিষয়ে এই নারী প্যানেল চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমার মার জন্য বয়স্ক ভাতা আর আমার নিজের জন্য বিধবা ভাতার কার্ড একই সময়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দেই। কিন্তু ভুল বসত আমার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড আসে। আজকে ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে কার্ড বাতিলের আবেদন করেছি। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৩০ মার্চ ২০২২