স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ৯টায় শোভাযাত্রায় অংশ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা,সরকারি কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ।
২৫ জুন শনিবার সকাল ১০ টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,আমরা মাথা নোয়াইনি। আমরা কখনো মাথা নোয়াবো না। বাঙালি জাতি কখনও মাথা নোয়ায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাথা নোয়াননি, তিনি আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন,এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা এবং আমাদের প্রত্যয়। আমরা এই সেতু করবোই, সেই জেদ। ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ দুই বছর বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্দম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪২টি স্তম্ভ যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, পারেনি। আমরাই বিজয়ী হয়েছি।
এরপর জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও দুপুর সাড়ে ১২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ ছাড়াও চাঁদপুর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে অংশ নেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ ওসমান গনি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা,সরকারি কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ ইতিহাসের সাক্ষী হতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২৫ জুন ২০২২