Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর জেলা প্রশাসক চলে গেলে ভিক্ষুকমুক্ত ফান্ডের কী হবে?
city-of-hilsha
Chandpur City Of Hilsha Dreamer & Creator Md. Abdus Sabur Mandal

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক চলে গেলে ভিক্ষুকমুক্ত ফান্ডের কী হবে?

চাঁদপুরবাসীর কল্যাণে তৈরি করা ১ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ১ শ’ টাকার ভিক্ষুকমুক্ত ফান্ড নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সদ্য বদলীর আদেশ পাওয়া আলোচিত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাটকা রক্ষা এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে ইলিশ অভয়াশ্রম কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, কোনো জেলা পরিবর্তন না হলে উন্নয়নের আলো মুখ দেখা যাবে না। সরকার চায় পরিবর্তন। অনেকে মনে করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক চলে গেলে ভিক্ষুকমুক্ত ফান্ডের কী হবে? অনেকে ফেসবুকেও বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু ফেসবুকে এ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এটি আলাদা ব্যাংক একাউন্টে জমা পড়ে আছে। পরবর্তী জেলা প্রশাসক এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।

সরকারের এ যুগ্ম-সচিব আরো জানান, একটি সুষ্ঠু নীতিমালার মধ্যে দিয়ে জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পুরো টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট কিংবা সঞ্চয় পত্র ডিপোজিট করা যায়। সে টাকা থেকে লভ্যাংশ টাকা দিয়ে পর্যায়ক্রমে জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা যাবে। এতে সরকারও সহযোগিতা করবে। সেই সাথে পুরো টাকা ডিপোজিট থাকবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সুপারিশের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলায় মোট ২হাজার ৩শ’ ৬৮ জন ভিক্ষুককের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সকল বিভাগ থেকে এখনো টাকা আসেনি। তাই সরকারের কাছে টাকা চাইতে পারছি না। সকল বিভাগ থেকে টাকা আসলে সরকার এ খাতের জন্যে ৫০ লাখ টাকারও বেশি দিবে।’

ইলিশ সম্পর্কে ব্যক্তিগত অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে ইলিশ মাছ থাকলে আমার মনটা ভরে যাবে। কারণ ইলিশের কারণে আমি পদক পেয়েছি। তাই ইলিশ ভরপুর হলে ইলিশের বাড়ি নামটি সার্থক হবে।’

বিগত বছরের কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ জেলায় দু’বছর ৮ মাস ধরে কাজ করছি। আমার সাথে কোন ডিপার্টমেন্টের (সরকারি বিভাগের) বধন্যতা হয়নি। আমি সকলকে নিয়ে নিরলস কাজ করছি বিধায় জাতি ইলিশ মাছ খেতে পেরেছে। আপনারা কাজ না করলে ইলিশের বাড়ির নাম থাকবে না। আর আমরা যারা প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি, হয়তো একদিন আমরা থাকবো না। সুতরাং যারা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা তারা আন্তরিক হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের আইজিপি মহোদয়ের বাড়ি যেহেতু চাঁদপুর। তিনি এ বিষয়ে নজর দিবেন। ইলিশ জাতীয় সম্পদ। এর রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের উপর। জেলা প্রশাসক বিদায় নিচ্ছেন এটা একটা অ্যাফেক্ট (ইস্যু) হতে পারে। সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রের যে বিধি বিধান আছে তা সকলকেই মানতে হবে। আমি যতোদিন চাঁদপুরে আছি, ততোদিন যেনো জেলেরা মাছ ধরতে না পারে।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট