Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন
জামায়াতে

চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন

৫ দফা দাবিতে আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন আয়োজন কর হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, চাঁদপুর জেলা আমির ও ফরিদগঞ্জ আসনের এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী। তিনি বলেন, জুলাই সনদকে আইনী মর্যাদা দিতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। বাংলাদেশে আলাদাভাবেই গণভোট আয়োজনের নজির রয়েছে। একসাথে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের দাবি বিভ্রান্তিমূলক। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, দেশের জনগণ আর এই বৈষম্যমূলক নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে না। পিআর পদ্ধতি এখন সময়ের দাবি, জনগণের দাবি এবং গণতন্ত্র রক্ষার দাবি। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন। অন্যথায়, এই দাবি আদায়ের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই আমরা এর চূড়ান্ত সমাধান করব ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাকসুদুল ইসলাম বুলবুল, চাঁদপুর সদর-হাইমচর আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোঃ শাহাজান মিয়া। বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সহযোগী জাপা ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার বা দোসররা ভিন্ন নামে বা অন্য কোন দলের প্রার্থীদের উপর সওয়ার হয়ে আসার পথও রুদ্ধ করতে হবে। নমিনেশন বাণিজ্য, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর) নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি ভোট, প্রত্যেক প্রার্থী এবং ছোট-বড় প্রতিটি দলের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পিআর সিস্টেমই একমাত্র বিকল্প।

চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের বাইতুলমাল সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন বিএসসি, শহর জামায়াতের আমীর এড.শাহজাহান খান, সদর আমীর মাও: আফসার উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের শহর সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭৭ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ‘রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট’ এবং ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার আমলে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তনের লক্ষ্যে ‘সাংবিধানিক গণভোট’ আয়োজন করেছিলেন। এছাড়া স্বৈরাচারী এরশাদ শাহীও ১৯৮৫ সালে ‘প্রেসিডেন্ট আস্থাভোট’ এর গণভোট করেছিলেন। ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি বা সময়ের প্রয়োজনে প্রভিশনাল সাংবিধানিক আদেশের সুযোগও রয়েছে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার ওয়াদা দিয়ে নির্বাচিত ন্যাশনাল এসেম্বলী এবং প্রভিশনাল এসেম্বলীতে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান সত্যায়ন করা হয়েছিল। ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি অনুযায়ী বিচারপতি শাহাবুদ্দিন এর নেতৃত্বে গঠিত কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কাজেই জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রভিশনাল সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদকে আইনী মর্যাদা দেয়ার সুযোগও রয়েছে।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট/
১৫ অক্টোবর ২০২৫