Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের গ্রুপিং
চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের গ্রুপিং

চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের গ্রুপিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের ইতিহাসে নতুন করে চলমান গ্রুপিং এবং সংকটময় এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে ক’দিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ অভিযোগ ও নানা অজানা তথ্য। এ যেন ‘কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ’ বেরিয়ে আসার মতোই একটি বাস্তবতা। রীতিমত একে অপরকে দোষারোপ করাটাই যেনো এখন নেতাদের নিয়মিত সাংগঠনিক কাজে পরিণত হয়েছে। যেখানে জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু নেতা অদৃশ্য পর্দার অন্তরালে নিরাপদ দূরত্ব থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে অভিযোগই যেনো আজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছে দলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের বক্তব্যে।

অভিযোগের তীর চাঁদপুরের দলীয় সাবেক সাংসদবৃন্দ ও বর্তমান স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী একাধিক নেতাদেরকেও বিদ্ধ করেছে। তৃণমুলের পাশাপাশি দলটির সাবেক ছাত্রনেতাদের অভিযোগ দলীয় স্বার্থ পদদলিত করে নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে জেলা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিকে দু’ভাগে বিভক্ত করার নেপথ্যে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দিয়ে যাচ্ছেন এসব নেতা। তাই মূল দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের স্বার্থসিদ্ধির আশীর্বাদপুষ্ট জেলা ছাত্রদল কমিটি আজ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা ছাত্রদলে বিভাজনের নেপথ্যের কারিগররা যতই আড়ালে ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কিন্তু বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চোখে তাদের স্বার্থ সিদ্ধির রূপ অনেকটাই স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যে দু’টি গ্রুপ দৃশ্যমান। একটিতে রয়েছে যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুল আলম সূর্য ও কামরুজ্জামান হাসানাতের নাম। এ দু’জনের সাথে রয়েছেন আরো দু’যুগ্ম আহ্বায়ক কচুয়ার সারফীন হোসাইন ও হাজীগঞ্জের আবু সায়েম।

এদের গ্রুপিংয়ের নেপথ্যে থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তারা হলেন কচুয়ার সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, সাবেক সাংসদ ফরিদগঞ্জের লায়ন হারুনুর রশিদ, জিএম ফজলুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা খান সফরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিন ও বিএনপি নেতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।

সূত্র মতে, অপর গ্রুপিংয়ে রয়েছেন স্বয়ং বর্তমান আহ্বায়ক ফয়সাল গাজী বাহার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাঝি, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদগঞ্জের আব্দুল মতিন, মতলবের গোলাম মাওলা কচি।

এদের গ্রুপিংয়ের নেপথ্যে থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তারা হলেন স্বয়ং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাবেক সাংসদ নুরুল হুদা ও লায়ন হারুনুর রশিদ। এদের বিষয়টিও তৃণমূলের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এদিকে দ্বি-মুখী নীতি অবলম্বন করে উভয়গ্রুপকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবেই মদদ যুগিয়ে যাচ্ছেন লায়ন হারুনুর রশিদ। নতুন করে এমন অভিযোগ আসছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বক্তব্যে। যা এখন দিবালোকের মতোই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যদিও তা স্বীকার করতে চাইছেন না অভিযুক্ত কোনো পক্ষই।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম না প্রকাশের শর্তে সাবেক এক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, ‘একসময় চাঁদপুর জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি পরিবেষ্টিত হতো চাঁদপুর শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসকেন্দ্রিক এবং সকলপর্যায়ের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হতো ছাত্রদলকেন্দ্রিক। কিন্তু বর্তমানে অপরিপক্ক নেতৃত্ব ও কোনো এক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্বার্থসিদ্ধির আশীর্বাদে পুষ্ট হয়ে ছাত্রদল তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে অনেকটা নীরব ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারা। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ এসব অভিযোগের বিষয়ে মৌন সমর্থন দিয়েছেন। কেউ আবার মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

এছাড়া বর্তমানে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্বে থাকা সাবেক ছাত্রনেতারা বর্তমান কমিটির আন্দোলন, ঘরোয়া কর্মসূচি ও কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদিতে পরামর্শ না দেয়া ও উপস্থিতি না থাকার বিষয়ে ক্ষোভের সাথে নানা অভিযোগ করেছেন সাবেক একাধিক ছাত্রনেতা।

তবে গ্রুপিং ও বিভাজনের বিষয়টি অস্বীকার করে শোকজ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক জিএস আফজাল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘গ্রুপিংয়ের কোনো প্রশ্নই ওঠে না, গ্রুপিং তো হয় আহ্বায়ক একদিকে আর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরেক দিকে থাকলে। বর্তমান আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক তো একই সাথে কাজ করছে। কোনো গ্রুপিং নেই। গ্রুপ একটাই, সেটা হলো শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। ওনাকে মেনেই সবাই দল করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলায় একটি প্রবাদবাক্য আছে যে, আপনার পালিত গরু যদি আপনাকে গুঁতা দেয় তাহলে সে গরু পালনের চাইতে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।’

এ সময় তিনি শোকজকৃতদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এরা নামে আছে কাজে নেই, এরা কাজ করে না, দলের ক্রান্তিলগ্নে এসে একাত্মতা পোষণ করে না। এভাবে তো রাজনীতি চলে না। তাই কেন্দ্র তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা তো আমাদের বিষয় নয়।’

এছাড়াও তিনি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে দলের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এখন দলের কেন্দ্রবিন্দু। ওনার নেতৃত্বেই চাঁদপুরে বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠন সু-সংগঠিত। তার কথা যদি আপনি না শোনেন তাহলে আপনি কীভাবে অঙ্গদল করবেন। বর্তমান রাজনীতি আর আগের রাজনীতি তো এক নয়। বর্তমানে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যেহারে দমন-পীড়ন ও মামলা-হামলা, এতে আন্দোলন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

তবে তিনি ‘দলকে গতিশীল করতে ছাত্রদলের সম্মেলনের বিকল্প নেই’ বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

ছাত্রদলের চলমান গ্রুপিংয়ের ইন্দনদাতাদের বিষয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ বিষয়টি বিন্দুমাত্র আমার চোখে পড়েনি। তাছাড়া নেতা-কর্মীরা আজকে যে মামলা-হামলায় জর্জড়িত, বিগত ৮ বছর ধরে সাবেক সংসদ সদস্যরা এসব বিষয়ে যোগ-জিজ্ঞাসা বা দলের কোনো খোঁজখবরই রাখে না। আমি বলবো কোনো ইন্দন দিয়ে ছাত্রদলকে বিভক্ত করা যাবে না। কারণ শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে বর্তমানে ছাত্রদল, যুবদলসহ সকল অঙ্গ সংগঠন সু-সংগঠিত। চলমান আন্দোলন সংগ্রামে এদের সবারই ভূমিকা রয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক যিনি, দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে তার কথাই শুনতে হবে আমাদের।’

শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে সাবেক ক’জন ছাত্রনেতার করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ নেতা বলেন, ‘এমন অভিযোগ করতেই পারে। এটি যার যার ইচ্ছা। একজন আরেকজনের অনুগত হলেই গৃহপালিত হয়ে যায় না। তা ছাড়া আমি বলবো, বর্তমান এসব ছাত্রনেতারা মামলা হামলায় জড়িত হতো না, যদি তারা মাঠে-ময়দানে আন্দোলন না করতো। আর যারা এসব অভিযোগ করছেন, তারা তো ঘরে বসে থাকেন, তাই তাদের নামে কোনো মামলাও নেই।’

গঠনতন্ত্রের নির্ধারিত সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বড় ক’টি দলের উপমা দিয়ে এ নেতা বলেন, ‘যে কোনো বড় দলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। তাছাড়া আন্দোলন-সংগ্রামে অনেকটা সময় চলে গেছে। সম্মেলন করার সে পরিবেশটাই তো নেই। যারা নেতৃত্বে আছে তারা কি জেল খাটবে নাকি সংগঠন গোছাবে। সবসময় গঠনতন্ত্র মেনে সবকিছু চালানো যায় না। তারপরেও যা হয়েছে অনেক ভালো।’

দলে সাবেক ছাত্রনেতাদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখক পদে সাবেক ছাত্রনেতাদেরকে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু বিগতদিনে আন্দোলন-সংগ্রামে ক’জন নেতা মাঠে ময়দানে উপস্থিত ছিলো? আপনি ঘরে বসে থাকবেন, আন্দোলন-সংগ্রামে আসবেন না, মামলায়ও পড়বেন না। আপনাকে ঘরে বসিয়েই কি পদ-পদবী দেবে নাকি? আর বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকে তো আন্দোলন- সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। এখন যেহেতু একটু শিথিল, সেহেতু সবাইকে নিয়ে সুন্দর করে দল গোছানো হবে। সেক্ষেত্রে দলে যার যতটুকু অবস্থান রয়েছে তাকে সে অবস্থানে নেয়া হবে।’

আন্দোলন-সংগ্রামে নেতাদের অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে দলে ভয়াবহ গ্রুপিং চলছে, যা আপনারা সরাসরি না বললেও এমন অভিযোগ অনেকেই করছেন। প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলের এখন ক্রান্তিকাল চলছে। এ দুঃসময়ে অনেকেই কিন্তু আসবে না। ঘরে বসে বসে বড় বড় কথা বলবে। যারা এতো বড় বড় কথা বলছেন তারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কয়টা মিছিলে ছিলেন?’

এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কে কোন সেক্টর থেকে আন্দোলন করেছেন এখন বড় বড় কথা বলছেন? আমরা ১৪/১৫টি মামলার আসামি আর এরা ক’টা মামলায় আসামি হয়েছে। অথচ এসব নেতারাই আবার বলছে দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে।’

চলমান এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, এমন প্রশ্নের জবাবে যত দ্রুত সম্ভব দলের সাংগঠনিক কর্মকা- বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এ নেতা বলেন, ‘সাংগঠনিক কর্মকা- বাড়িয়ে দলকে আরো সু-সংগঠিত করে আন্দোলন সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। আর এর কোনো বিকল্প নেই।’

এদিকে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জাহাঙ্গীর খানের নিকট চলমান এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একাধিকবার সময় দিয়েও অনেকটা চতুরতার সাথে কোনো ধরনের মন্তব্য না করেই বিষয়টি এড়িয়ে যান।

জেলা ছাত্রদলের সর্বশেষ সভাপতির দায়িত্ব পালনকৃত আরেক নেতা মানিকুর রহমান মানিকের নিকট ছাত্রদলের গ্রুপিং, দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি না জানার ভাণ করে উল্টো এ প্রতিবেদকের প্রতি প্রশ্নের তীর ছুঁড়ে বলেন, ‘কি দু’একজন শোকজ হয়েছে নাকি? এমন প্রশ্ন করে তিনি কিছুটা উদাসীনভাবে, হতাশা ও ক্ষোভের সুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘দল এখন আর আছে নাকি? সারা বাংলাদেশে তো দলের একই অবস্থা। এ সময় তিনি অনেকটা ব্যস্ততা দেখিয়ে আর কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

জেলা ছাত্রদলের সর্বশেষ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলের সাথে এ বিষয়ে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে জানা যায়, তিনি অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাধিন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।

জেলা ছাত্রদলের গ্রুপিং বিষয়ে এবং সংকট উত্তরণে সাবেক ছাত্রনেতারা মুখ না খোলার বিষয়টি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং যে অত্যন্ত ভয়াবহ সাবেকদের মুখ না খোলাটা তারই ইঙ্গিত বহন করে। কেননা দলের এসব গ্রুপিংয়ের নেপথ্যে যারা অদৃশ্যভাবে কলকাঠি নাড়ছেন তারা এতটাই প্রভাবশালী যে, এদের ব্যাপারে মুখ খুললে দলের সর্বশেষ পদ-পদবীটাও হয়তো হারাতে হতে পারে। এমন ধারণাই তাদের বাকশক্তিকে বিকল করে রেখেছে। আবার যারা পদে নেই তারা ভবিষ্যতে দলীয় পদের আশায় এসব বিষয়ে দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় না এনে নিজের স্বার্থসিদ্ধি হাসিলে অনেকটা ‘জ্বি-হুজুর নীতি’ অবলম্বন করছেন।

জেলা বিএনপিসহ সাবেক যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগের তীর ছোঁড়া হচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ নানা তথ্য। যা প্রকাশ করা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে। (চলবে…)

চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলে গ্রুপিং : নেপথ্যে কারা? (১মপর্ব) ক্লিক করে পড়ুন 

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ১০:১8 অপরাহ্ন, ২৩ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, বুধবার ০৮ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ডিএইচ/এমএএ/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি