চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১৩৯টি পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য পড়ে আছে। এতে করে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রমে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলায় ১৩ জন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা না থাকায় উপ-পরিচালককেই বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নিতে হচ্ছে।
এজন্য জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালকের অনুপস্থিতি বেশি লক্ষ্মণীয়। এতে অফিসের কার্জ-কর্মে ভাটা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ কর্মকর্তা না থাকায় অফিস আঙিনা শূন্য থাকছে। ১০ জনের কাজ একজনে করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রাপ্ত এক তথ্যে দেখা যায় চাঁদপুর জেলায়, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য), অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি), অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান), আটজন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ও একজন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য পড়ে আছে। এছাড়া পুরো জেলায় ১৩৯টি পদ শুন্য রয়েছে।
এরমধ্যে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে ১০টি, সদর উপজেলায় ছয়টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ২৬টি, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পাঁচটি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১১ট, শাহরাস্তি উপজেলায় ১৭টি, কচুয়ায় উপজেলায় ১১টি, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৪০টি ও হাইমচর উপজেলায় ১৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে। এসব পদের অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি বা নিয়োগ না দেয়ায় চাঁদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশেষ করে চাঁদপুরে দেশের বৃহত্তর দুুটি সেচ প্রকল্প রয়েছে। এসব সেচ প্রকল্পে প্রতি বছর তিনটি ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। যা দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তারপরও সরকার চাঁদপুরের এ পদগুলো পূরণে তেমন উদ্যোগি না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:১৬ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫