দীর্ঘ ২০ মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামি দু-এক দিনের মধ্যে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। ১৪ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ- নবায়ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ তথ্য দেন।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দ্বতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া এ নেতা সাংবাদিকদের জানান, ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের নতুন এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্বাক্ষর বাকি। আমরা আশা করি আগামি দু-এক দিনের মধ্যেই কমিটি ঘোষণা করতে পারবো।
এদিকে এই ঘোষণা শোনার সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে ভিন্ন রকম পতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নতুন এ কমিটিতে কে কে থাকছে আর বাদ পড়ছেন কোন কোন নেতা! তা নিয়ে তৃণমূল নেতার্কীদের মাঝে গুঞ্জণের সৃষ্টি হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্তকে বেশ ভালো ভাবেই দেখছেন তারা। তবে কোনো কোনো নেতাকর্মী ভিন্নমতও প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি নতুন কমিটি প্রকাশের পর বাদ পরা নেতৃবৃন্দের মধ্যে যদি আবার দূরত্ব দেখা দেয় আর সেটি যদি দলীয় কোন্দলে রুপ নেয় তবে তা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ হিসেবে এসব নেতাকর্মীরা মনে করেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে আমওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১১ বছর পর গত বছরের (২০১৬) ২৭ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এতে তৎকালিন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালকে পূণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশ্রাফুল ইসলাম সম্মেলনের অধিবেশনের প্রথম পর্বেই দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এ দুটি নাম ঘোষণা করে চলে যান।
এরপর দীর্ঘ ২০ মাস ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের দুই মাঝি অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান একাধিক সিনিয়র নেতা।
তারা বলেন, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি না হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিও করা যাচ্ছে। তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হওয়ার সাথে সাথে দলের প্রয়োজনে অন্যান্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোতে ঢেলে সাজাতে হবে। এতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো চাঙ্গা হবে বলে তারা মনে করেন।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১:০৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ