আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সম্মেলন উদ্বোধন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।
সম্মেলন শেষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে সভাপতি পদে চাঁদপুর পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলালকে ঘোষণা করা হয়।
বুধাবার সম্মেলন শেষে কাউন্সিল ছাড়াই দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ কমিটি ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডঃ আঃ মতিন খসরু এমপি, র.ম. মুসতাকিন, ফরিদুর রহমান লাইলী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী ও বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে সারাদিন আ’লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করলেও হঠাৎ করে কাউন্সিল ছাড়াই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দ্রুত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে সভাস্থল ত্যাগ করেন। সভাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই মঞ্চের সামনে হট্টগোল ও বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা দ্রুত সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে এ বিষয় নিয়ে শহরজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক মারামারি, ভাংচুর। শহরের ওয়ারলেচ এলাকা দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অন্যদিকে চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ি এলাকায় হকার্স মার্কেটেও ভাংচুর শুরু হয়ে সাময়িক ভাবে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে আরো ব্যাপক হারে সংঘর্ষের আশংকায় জেলা শহরের মানুষদের মাঝে কিছুটা অজানা আতংক রয়েছে। সকাল থেকে জেলা শহরের ভেতরে যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া, পৌর মেয়র ও চাঁদপুর শহর সভাপতি নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি ওচমান গনি পাটোয়ারী, যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, আহসানউল্লাহ আখন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, শামসুল হক মন্টু পাটোয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুনুর রশিদ সাগর গণসংযোগ করেছিলেন।
তাদের নেতারা নির্বাচিত না হওয়ায় কর্মীরা মনোক্ষুণ্ন হয়েই শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ০৫:১০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ/এমআরআর