চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় গ্রামীণ বাংকের ৫৪টি শাখা দারিদ্র বিমোচনে ১৯৯০ সাল থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এ পর্যন্ত জেলার ওই শাখাগুলো ২ হাজার ১শ ১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে। এ পর্যন্ত সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯শ ৪০ জন-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্য সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৮২ হাজার ৫শ ৯ জন।
ব্যাংক শাখাগুলো গত এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত ১ হাজার ৯শ ৬২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আদায় করেছে। এসব সদস্যদের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে আমানত হিসেবে গ্রামীণ বাংকের কাছে জমা রয়েছে ৩শ ১৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
গ্রামীণ ব্যাংক চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন ঋণ গ্রহিতাদের মধ্যে গৃহনির্মাণ, ব্যবসায় পরিচালনা, পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালনা, পরিবহন ক্রয়, নার্সারি, বৃক্ষ রোপণ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন, ছাগল ও দুধের গাভী পালন প্রভৃতি বিশেষ খাতে বিনিয়োগ করে ৩৮ হাজার ৭শ ২৮ জনকে ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে।
পল্লী ফোন বিতরণ করেছে এমন সদস্য সংখ্যা ২১ হাজার ২৫ জন। গ্রামীণ ব্যাংক শুরু থেকে জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঋণ গ্রহিতাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার্থে ৫ বছর মেয়াদী বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া ৫শ ১৮ জন শিক্ষার্থিদের মধ্যে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে প্রদান করেছে।
ওই ঋণ শিক্ষার্থীরা চাকরি জীবনে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে তা পরিশোধ করতে পারবে। ৩ হাজার ৭শ ৮৫ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীকে এ পর্যন্ত ৬৫ লাখ টাকা শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে প্রদান করেছে। ১৩জন শিক্ষার্থীকে নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়েছে গ্রামীণব্যাংক।
বিনা স্বর্থে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন হার্ট-বাজার, লঞ্চ ঘাট ও ফেরী ঘাট, শহর-বন্দর গ্রামের আনাচ-কানাচ থেকে ৩ হাজার ৮ জন ভিক্ষুককে ধরে এনে ঋণ প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৪শ ৭৭ জন ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপন করছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভাষায় এদেরকে বলা হয় সংগ্রামী সদস্য। চলতি বছরের এপ্রিল-২০১৫ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের ৫৪টি শাখায় নিয়ন্ত্রণকারী চাঁদপুর জোন ৩শ ৬ কোটি টাকা লাভ করেছে। যার ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের মুনাফাকারী অর্জিত শাখাগুলোর মধ্যে চাঁদপুর ৫ম স্থান অধিকার করেছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার অক্ষয় কুমার নাথ আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, চাঁদপুর জোনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর নিরলস প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং তাকে সার্বিক সহযোগিতা করায় এই সাফল্য এসেছে। তাদের এই কর্মচঞ্চলতা ও দায়িত্ব পালনে কর্তব্যপরায়ণতা নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংককে আরো এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।