চাঁদপুর

চাঁদপুর জেলার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল

চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। তবে স্থানীয় বাজারে কাঁঠাল না উঠলেও আগামী এক মাসের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় শুরু হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

চাঁদপুরে কাঁঠালের চাহিদা বেশ ভালো থাকায় চাঁদপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে এখানে মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অুুলনীয় সরবরাহ রয়েছে বেশ ভাল। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পুরো জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এদিকে কৃষি অফিস জানিয়েছে, কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে। চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তায় ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে আগা পযর্ন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল।

এক একটি গাছে ২০-৪০টির মতো কাঁঠাল ধরেছে। এ যেন এক প্রকার প্রকৃতি দিয়ে যেন সাজানো হয়েছে। এক মাস পরেই মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজার। কাঁঠাল গ্রীষ্ম মৌসুমের একটি জনপ্রিয় ফল। ছোট বড় সবাই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠাল পাকা খাওয়ার পাশাপাশি মানুষের কাছে এই প্রিয় ফল ও তরকারী হিসেবে যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বী প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। কাঁচা ও পাকা কাঁঠালের বিচি মাংস ও সবজির সঙ্গে রান্না করা যায়। তাছাড়া কাঁঠালের ছাল গবাদিপশুর উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইল হোসেন গাজী বলেন, বাড়ি সংলগ্নে খোলা জায়গায় তার কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০-৩০টির কাঁঠাল এসেছে। গাছের কাঁঠালে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে বড় হয়ে পাকতে আরো প্রায় এক মাস সময় লাগবে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানায়।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, চাঁদপুরে চাইলে চাষিরা কাঁঠাল চাষ করতে পারে। এখানে সে রকম ভূমিও রয়েছে। কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালু হওয়ায় কদরও রয়েছে ভাল। তাই কৃষরা আশা করি কাঁঠাল চাষ করে লাভবান হবেন। এই ফল উৎপাদনে বাগান মালিকদের তেমন খরচ নেই বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম, ২৬ এপ্রিল ২০২০

Share