Home / কৃষি ও গবাদি / চাঁদপুর ক্যাফে ঝিলে ‘ভেজাল খাদ্য পরিবেশন’
চাঁদপুর ক্যাফে ঝিলে ‘ভেজাল খাদ্য পরিবেশন’

চাঁদপুর ক্যাফে ঝিলে ‘ভেজাল খাদ্য পরিবেশন’

চাঁদপুর শহরের অতি পরিচিত হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ক্যাফে ঝিলের স্টেডিয়াম রোড শাখার বিরুদ্ধে অপরিচ্ছন্ন ও ভেজাল খাদ্য পরিবেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন চাঁদপুর টাইমসকে জানান তারা প্রায়ই ওই হোটেলে নাস্তা কিংবা খাবার খেতে গিয়ে বিভিন্ন সময়  এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।

ক্রেতা মো. সাইফুল জনান, তিনি একদিন ফালুদার মধ্যে কাঁচের টুকরো পেয়েছেন। এবং তিনি দেখেছেন ওই হোটেলের বাবুর্চি বাথরুম থেকে এসে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত না ধুয়েই খাবার পরিবেশনের কাজ করছেন।

আরো ক’জন ব্যাক্তি জানান, ‘চাঁদপুর শহরের অন্যান্য হোটেলগুলির চেয়ে  ক্যাফে  ঝিলের পরিবেশ অনেকটা ভালো ও খাবারের সুনাম রয়েছে। তাই আমরা সবসময়ই ওই হোটেলে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু ক’মাস ধরে ওই হোটেলের ক্রেতাদের মাঝে খাবার পরিবেশনে অনেক অনিয়ম দেখা গেছে।  আমরা বেশ ক’দিন নাস্তা করতে গিয়ে মুরগী দিয়ে তৈরি বাসি গ্রিল পেয়েছি।’

এমন অভিযোগের কথা শুনে সচেতন মহলের অনেকে মনে করেন ক্যাফে ঝিল হোটেলটি অল্প সময়ে অধিক পরিচিতি লাভ করায় তাদের মাঝে হেয়ালীপনা দেখা দিয়েছে। নামের কারণেই হয়তোবা বাসি, পঁচা খাবার চালিয়ে দেয়া যাবে এমনই মনোভাব হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষের।

হোটেলটিতে কাস্টমার সেজে অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশিরভাগ সময় কাস্টমারদের তাজা খাবারের বিপরীতে ফ্রিজের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, মাঝে মাঝে পোল্ট্রি ফার্মগুলি থেকে কম মূল্যে অধিকসংখ্যক রোগাক্রান্ত মুরগী কিনে এনে ফ্রিজে জমা করে রাখা হয় এবং সেগুলোকে স্বাভাবিক খাবারের সাথে জালফ্রাই,  উন্নতমানের খাবার হিসেবে গ্রিল বানিয়ে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি চাঁদপুর টাইমসে হোটেল-রেস্টুরেন্টে অপরিচ্ছন্ন খাবার নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সংক্রান্ত একটি নিউজে একাধিক পাঠক কমেন্ট করে জানিয়েছেন, ক্যাফে ঝীলের ইলিশ চত্ত্বর শাখায় অপরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশন করছে।

coments

তাই সচেতন মহলের দাবি মানুষের সুসাস্থের জন্য অনিয়মের মাঝে ক্রেতা সাধারনের বাসি পচা খাবার যাতে পরিবেশন না করা হয়। সেজন্য তারা এমন অনিয়ম করা হোটেলগুলির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এসব অভিযোগে ব্যাপারে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মাসুদ আখন্দ জানান, ‘আমরা কখনোই বাসি খাবার পরিবেশন করিনা। ফালুদার মধ্যে যদি কেউ কাচের টুকরো পেয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদেরকে জানানো উচিত ছিলো। আমাদের না জানিয়ে যদি কেউ এমন অভিযোগ করে থাকে তাহলে সেটি মিথ্যা। হয়তো কেউ আমাদের ব্যাবসার ক্ষতি করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদককে দাঁড়িয়ে থেকে কাস্টমারদের খাবার পরিবেশন পদ্ধতি দেখার জন্য বলেন। আগামীতে যাতে এমন কোনো ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার আশ্বাস দেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :  আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:১৮ এএম,  ২৩ মে  ২০১৬, সোমবার

ডিএইচ