চাঁদপুর

ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের দু’পাশ

প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের দু’পাশ। আঞ্চলিক মহাসড়কটি জেলার ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গতিরোধক না থাকায় গাড়িগুলো একটি অপরটিকে অতিক্রম করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়।

এ দুর্ঘটনার স্বীকার হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে সিএনজি ও অটোরিকসা । এ যানবাহনগুলো দ্রুতগতিসম্পন্ন ও হালকা হওয়ার কারণে রাস্তা অতিক্রম করতে গিয়ে প্রায় সময় উল্টে যায় অথবা একে অপরের সাথে সংঘর্ষ ঘটে।

এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীসহ রাস্তার পাশে পথচারিরা দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে থাকে। এ জন্য গাড়ি চালক ও পথচারীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন।

চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কটির পাশে মাটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গতিরোধক না থাকার কারণে দিনদিন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে প্রায় ঘটছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা। সড়কের পাশে মাটি না থাকায় এবং রাস্তা এবড়ো-থেবড়ো থাকার কারণে পথচারীরা সাধারণত: সড়কের ওপর দিয়ে হাঁটে।

এ ছাড়াও সড়কে চাহিদার তুলনায় গাড়ি বেশি চলাচল করা ও ছোট গাড়িগুলো দ্রুতগামী হওয়ায় কারণে দুর্ঘটনা এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ সব দুর্ঘটনায় কেউ হারাচ্ছে প্রাণ আবার কেউবা পঙ্গুত্ববরণ করে অভিশপ্ত জীবন যাপন করছেন।

গত কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে হাজীগঞ্জে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা নামক স্থানে গাড়ি চাপায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

তার মাস খানেক পার না হতেই হাজীগঞ্জে আল কাউছার স্কুলের সামনে আরেক শিশু শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু। মিঠানিয়া ব্রীজের কাছে মিডওয়ে হাসপাতালের সামনে সিএনজি উল্টে গিয়ে দু’জন যাত্রী পা হারায়। দেবপুর এলাকায় সিএনজি উল্টে দুর্ঘটনার স্বীকার হয় যাত্রী ও চালক। এছাড়াও রয়েছে অনেক ছোট-খাটো দুর্ঘটনা যা হয়তো যা হয়তো গণমাধ্যমে আসে না।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ স্থানে সড়কের দু’পাশে সড়কের অংশ থেকে পাশের রাস্তা মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান। বিভিন্ন স্থানে এক ফুট থেকে দেড়-দু’ ফুট পর্যন্ত ব্যবধান লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়াও মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে গতিরোধক নেই। ওই সব স্থানে গাড়ি চলাচল দ্রুতগামী হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে।

শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। তখন স্থানীয় জনসাধারণ সড়ক অবরোধ করলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে শান্ত করার জন্য রাস্তার দু’পাশ মাটি দিয়ে ভরাট করা ও গতিরোধক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

অথচ এ বিষটি নজরদারির কথা সড়ক ও জনপদ বিভাগের। কিন্তু তার সময়মতো নজরদারি করছে না। সময়মতো নজরদারি করলে হয়তো দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হতো
মাজাহারুল ইসলাম অনিক: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৩০ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Share