Home / বিশেষ সংবাদ / চাঁদপুর কুমিল্লা ও নোয়াখালি জেলায় অভিযান : ৭ সদস্য আটক
চাঁদপুর কুমিল্লা ও নোয়াখালি জেলায় অভিযান : ৭ সদস্য আটক

চাঁদপুর কুমিল্লা ও নোয়াখালি জেলায় অভিযান : ৭ সদস্য আটক

রোববার ০৭ জুন ২০১৫ :  ০২:৫২ অপরাহ্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর টাইমস  ডটকম :

চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে গত ২ দিন অভিযান চালিয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের র‌্যাব-১১।

রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো ঢাকা কেরানীগঞ্জ এলাকার শকুর আলী (৪৫), নোয়াখালী চর জব্বার এলাকার বাবুল চন্দ্র মজুমদার (৩৮), কুমিল্লা দাউদকান্দি এলাকার মো. পলাস (২৫), চাঁদপুর জেলার আলিমপুর এলাকার মশিউর রহমান (৩০), একই জেলার আমছাপুর এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিন (৩৫), কড়াইতলী এলাকার মো. জিল্লুর রহমান (৩০), একই জেলার শাহরাস্তি উপজেলার তাজুল ইসলাম (৫০)।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের উপ-পরিচালক মেজর সাকিব সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় প্রায়ই সিএনজি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ দল এর পিছনে কাজ করছে। এরূপ অনেক ঘটনাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে র‌্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল এরূপ চক্রকে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করে আসছে।

গত শুক্র ও শনিবার র‌্যাব-১১ কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালি জেলার বিভিন্ন স্থানে একটানা অভিযান অব্যাহত রেখে এরূপ সিএনজি ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করে। একটি সিএনজি উদ্ধারসহ বেচাকেনার ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এদের মধ্যে শুক্কুর ও বাবুল প্রাথমিক পর্যায়ে সিএনজি চালকদের কৌশলে কিছু খাইয়ে তাদের অজ্ঞান করে যেকোনো স্থানে তাকে রেখে সিএনজি নিয়ে পালানোর কাজ করে। সিএনজি চুরির পর পলাশ সেটা চালিয়ে নিয়ে বাবুর গ্যারেজে নিয়ে যায় এবং সেখানে ইঞ্জিন/চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করাসহ যেকোনো পরিবর্তন/পরিবর্ধন এর কাজ করা হয়।

গিয়াস ওইসব চোরাই সিএনজি বেচাকেনার দালালি করে। তাকে সহায়তা করে গ্যারেজের মালিক বাবু (গিয়াসের মামা)। তাজুল এসব চোরাই সিএনজির ক্রেতা এবং মশিউর চোরাই সিএনজির ক্রেতার পক্ষ হয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর কাজ করে। এই চক্রের সবাই মিলে একযোগে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালি, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এই চোরাই সিএনজির কাজ করে আসছিল। আসামিদের আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুরাচক্রের এসব কাজের কথা স্বীকার করেছে।

একাজে জড়িত কুমিল্লা জেলার আব্দুল মতিন ও মাদারিপুর জেলার মজিবুর রহমান জড়িত রয়েছে। তারা দুজনই বর্তমানে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করছে তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সিএনজি ছিনতাই চক্রের আটককৃত ৭ জনসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।