চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠক ফোরামের ৭শ’তম সংখ্যা পূর্তিতে লেখক সম্মাননা

চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরামের ৭০০তম সংখ্যা পূর্তি উপলক্ষে লেখক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার (৪ জুন) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবং লেখকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাড. ইকবাল-বিন-বাশারের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিএম হান্নান, চাঁদপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোহর আলী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাহার, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আবু ছালেহ মো. আব্দুল্লাহ।

শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেন, দীর্ঘদিন চাঁদপুরে চাকুরি করার সুবাদে এবং বিএমএ’র সেক্রেটারী থাকাকালীন এখানকার অনেকেরই সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদপুর কণ্ঠ এক্ষেত্রে অগ্রণী। এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অর্থাৎ সেই ১৯৯৪ সাল থেকেই একজন পাঠক। সব পত্রিকার মাঝেও চাঁদপুর কণ্ঠকে মনের অন্তরস্থলে গেঁথে রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুরের উদীয়মান অনেক লেখক রয়েছে। এক সময় তাদের লেখালেখির একটা প্লাটফর্ম ছিলো না। চাঁদপুরের সাহিত্য একাডেমীর মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থা ছিলো। তখন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরাম সাহিত্য চর্চার জায়গা করে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে চাঁদপুর কণ্ঠ চাঁদপুরের সাহিত্য অঙ্গনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, এ পত্রিকায় যারাই লেখালেখি করেন তাদের প্রত্যেকেরই লেখার মান ভালো। প্রত্যেকেই সম্মাননা পাবার যোগ্য। পত্রিকাটি নিরপেক্ষতার ব্যাপারে আপোষ করেনি। এজন্যেই চাঁদপুর কণ্ঠ এতগুলো বছর পাঠকের মন জয় করে আছে। পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চাঁদপুর কণ্ঠ ৭০০তম সংখ্যায় পদার্পণ করতে পেরেছে। তিনি পত্রিকাটি যুগ যুগ টিকে থাকার প্রত্যাশা করেন এবং যারা সম্মানিত হয়েছেন সেসব লেখককে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সম্মাননা প্রদান। যাঁরা পাঠক ফোরামে দীর্ঘদিন ধরে লিখেছেন এবং ন্যূনতম মান বজায় রেখে লেখালেখির চর্চা অব্যাহত রেখেছেন প্রবীণ ও নবীন এমন ১০ জন লেখককে নির্বাচিত করে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তাঁরা হলেন : তছলিম হোসেন হাওলাদার, পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরী, জমির হোসেন জনি, জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, জসীম মেহেদী, কবির হোসেন মিজি, রফিকুজ্জামান রণি, আশিক বিন রহিম, কাদের পলাশ ও সোহানুর রহমান অনন্ত।

প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের কাছ থেকে উল্লেখিতরা পর্যায়ক্রমে তাঁদের সম্মাননা গ্রহণ করেন। পরে সম্মাননা প্রাপ্ত লেখকদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন প্রবীণ লেখক পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরী, লেখক তছলিম হোসেন হাওলাদার, তরুণ গল্পকার রফিকুজ্জামান রণি ও কাদের পলাশ।

পাঠকদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি মাইনুল ইসলাম মানিক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাঠক ফোরামের সর্বাধিক সংখ্যার বিভাগীয় সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্ত।

আবদুর রহমান গাজীর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিমল চৌধুরীর পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেক কেটে চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠক ফোরামের ৭০০তম সংখ্যা পূর্তি উদ্যাপন করেন।

আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান শেষে অতিথিদের উপহার প্রদান করা হয়। এ সময় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বিশিষ্ট লেখক ডা. পীযূষ কান্তি বড়–য়া ও কাজী শাহাদাতের উপহার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিলন, নির্বাহী সম্পাদক মির্জা জাকির, বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, শিশু কণ্ঠের সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, সহকারী সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থগারিক তৃপ্তি সাহা, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, চীফ রিপোর্টার বিমল চৌধুরী, চাঁদপুর কণ্ঠের ম্যানেজার সেলিম রেজা, চীফ ফটোগ্রাফার চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সোহাঈদ খান জিয়া, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম ফরহাদ প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরামের অন্যান্য লেখকবৃন্দ, পাঠকগণ ও অভিভাবকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠক ফোরামের বিভাগীয় সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:২০ পিএম, ৫ জুন ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share