চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় সড়কের জায়গা দখল করে মৎস আড়ৎ ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে দু’ভাবে অর্থ আদায় করছেন প্রভাবশালী একটি চক্র। ভাড়াটিয়ারা সড়ক সংলগ্ন দোকান ও সামনের জায়াগার জন্যে আলাদা ভাড়া গুনছেন।
পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রায় এক দেড় বছর ধরে অবৈধ ভাবে চলছে এসব মৎস্যআড়ৎ গুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস গ্যাস অফিস সংলগ্ন চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সড়কের দু’পাশে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব দোকানের সামনে থাকা পথচারীদের হাটা-চলার জন্য যে খালি জায়গা রয়েছে, দোকান মালিকরা সেসব স্থানগুলো অবৈধ ভাবে মৎস্য আড়তের হিসেবে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
দোকানের সামনের ওই জায়গায় মৎস ব্যবসায়ীরা তাদের যার প্রতিষ্ঠানের নামে বড় বড় সাইনবোর্ড টানিয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকটি মৎস আড়ৎতের সাইবোর্ড হলো, সততা মৎস আড়ৎ, ফরিদগঞ্জ মৎস আড়ৎ, মের্সাস খান মৎস আড়ৎ, চাঁদপুর মৎস আড়ৎ, সোনালী মৎস আড়ৎ, মা মৎস আড়ৎ, মদিনা মৎস আড়ৎ, ভাই ভাই মৎস আড়ৎ, মায়ের দোয়া মৎস আড়ৎসহ প্রায় ২০/২৫ টি মৎস আড়ৎ রয়েছে।
স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, ওই এলাকার জহির গাজীর ৪ টা, তার জামাতা ইউসুফ গাজীর ১টা ছেড়াজল গাজীর ৪ট বাচ্চু গাজীর ১ টা সহ নাম না জানা আরো বেশ কিছু লোক তাদের নিজস্ব দোকানের সামনে সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে এসব মৎস আড়ৎগুলো ভাড়া দিয়েছেন।
স্থনীয় ক’জন ব্যবসায়ী জানান, এর বিনিময়ে তারা বিভিন্ন মৎস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে আড়াই হাজার হতে ৩ হাজার টাকা ভাড়া গুনছেণ। এর বাইরে দোকান ভাড়াও আলাদা নিচ্ছেন তারা। এসব মৎস আড়তের কারণে একদিকে যেমন পথচারী ও যানবাহন চালকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অন্যদিকে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আড়তগুলো সেসব ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন।
সড়কের জায়গা জুড়ে এসব মৎস আড়ৎতদাররা প্রতিদিন ভোর বেলা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রির সময় মাছের পানি সড়কের পাশে বহুদুর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা মাছের ওই নোংরা পানি গুলো সড়কের পাশে জমে থাকে। এর ফলে পথচারীরা ঠিকমতো হাটাচলা করতে পারছেনা।
অপরদিকে যানবাহন চলাচলেও বিঘœ সুষ্টি হতে দেখা যায়। এমন পানি জমে থাকার ওইস্থান দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে নোংরা পানিগুলো পথচারীদের গায়ে গিয়ে পড়ে।
সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে এসব মৎস আড়ৎ ভাড়া দেওয়া মালিকদের পক্ষে কেউই কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। কর্তপক্ষের কোন সাড়াশব্দ নেই। ওয়্যারলেস এলাকায় সড়কের পাশে এসব মৎস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এমন দুর্ভোগ থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে উল্লেখিত মৎস্য আড়ৎ ভাড়া দেয়া ক’জন ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ১০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ