বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত এইচএসসি ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে চাঁদপুর জেলার শীর্ষ স্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, সর্বোচ্ছ সংখ্যক ২০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে জেলার শীর্ষস্থানে রয়েছে আল আমিন একাডেমী স্কুল এ- কলেজ। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ।
কিন্তু স্থানীয়ভাবে লোকমুখে প্রচারিত হয়, জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ ২১টি জিপিএ-৫ নিয়ে চাঁদপুর জেলার শীর্ষে রয়েছে। তবে ২১ টি জিপিএ-৫ পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলেও, কোন বিভাগে কয়টি তা স্পষ্ট না হওয়ায় এমন ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে প্রতিষ্ঠানটি জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৫টি। আর বিএম শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬টি। এ দু’টি ফলাফল আলাদা না করে একত্রে প্রকাশ করায় সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির তালিকার শীর্ষে ওঠে আসে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের নাম।
এ বিষয়ে আল আমিন একাডেমীর দায়িত্বপ্রাপ্ত টিচার্স ইনচার্জ মকবুল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জেলায় সর্বোচ্ছ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ভিত্তিতে আল আমিন একাডেমী স্কুল এ- কলেজ ২০টি জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আর ১২টি জিপিএ-৫ নিয়ে দ্বীতিয় স্থানে রয়েছে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ।
কিন্তু কিছু মিডিয়ায় হাজীগঞ্জ মডেল কলেজকে প্রথম স্থান অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাস্তবতা হলো কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে তাদের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ৫। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিএম শাখায় জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ জন।
তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালের এইচএসসিতে আল আমিন একাডেমী থেকে অংশ নেয়ব্যবসায় শিক্ষায় ১৩৯, বিজ্ঞানে ২৫৪ ও মানবিকে ১৫৯ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষায় ১জন ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং পাশের হার ৮১.২৪ ভাগ।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ৪৯জন অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস করেছে।
টিচার্স ইনচার্জ হিসেবে আপনার দায়িত্ব পালনকালে এবারই প্রথম এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ ব্যপারে আপনার মুল্যায়ন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতোই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আল আমিন একাডেমী স্কুল এ- কলেজ।’
বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরিণ ঘটে যাওয়া বিষয়ের প্রভাব যেনো শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রভাব ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে শিক্ষকরা আন্তরিক ভুমিকা রেখেছেন বলেই ভালো ফলাফল নিশ্চিত হয়েছে। এ জন্যে সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন টিচার্স ইনচার্জ মকবুল হোসেন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট