জেলা প্রশাসন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার ২য় দিনে বুধবার ( ১৮ জানুয়ারি) সকালে স্বপ্ন ব্যাংক প্রেক্ষিত চাঁদপুর নিয়ে কনটেন্ট উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক পরিকল্পনা তুলে ধরেন মেলায় আগত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও সুধীবৃন্দ। এতে বিভিন্ন সুধীবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চাঁদপুরের উন্নয়ন মূলক স্বপ্ন ও ুপরিকল্পনা অনুষ্ঠানের বিচারকদের কাছে তুলে ধরেন।
স্বপ্ন ব্যাংক কনন্টেট উপস্থাপনায় যেসব স্বপ্নর কথা তুলে ধরা হয়, তা হলো চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের জন্য নদীর তলদেশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা, শহরের যানজট নিরসনে মাটির নিচ দিয়ে সড়ক নির্মাণ, চাঁদপুরে ঐতিহ্যবাহী একটি যাদুঘর ও শিশু পার্ক তৈরি করা, মালশিয়ান টাওয়ারের মতো একশো বিশ তলা ভবন মর্িান করা, একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, এবং মেঘনা নদীর যেসব ডুবোচর ভেসে উঠেছে সেখানে বিমানবন্দর তৈরি করাসহ চাঁদপুরকে একািট পর্যটন জেলা হিসেবে গঢ়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আবদুল হাই।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বি এম হান্নানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক চাঁদপুর খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী।
আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, জাপানি নাগরিক কাজু।
অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন চাঁঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, সময় টিভির স্টাফ রির্পোটার ফারুক আহমেদা।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, চাঁদপুর জেলা ইতিমধ্যে ব্র্যন্ডিং জেলা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে চাঁদপুর আইসিটিতে শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেছে। এ জেলার উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা সবসময়ই আন্তরিক। আমাদের সাথে আপনাদেরকেও জেলার উন্নয়নে আন্তরিক হতে হবে।
চাঁদপুরের সন্তানরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তাই চাঁদপুরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাদেরকে এমন স্বপ্ন দেখতে হবে যাতে একসময় তারা সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারেন।
তিনি বলেন চাঁদপুর হচ্ছে একটি নদীমাতৃক জেলা। এ জেলার পদ্মা মেঘনা ও ডাকাতিয়াসহ তিন নদীর মিলনস্থলে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘুরে বেড়াতে আসেন। এটি এ শহরের একটি ঐতিহ্য তাই চাঁদপুরের এ ঐতিহ্যকে সকলকে রক্ষা করতে হবে। চাঁদপুরের উন্নয়নে সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলে এ নদীমাতৃক চাঁদপুর আরো অনেক উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে।
পরে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন অতিথিবৃন্দ।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৮ : ১০ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ