ঈদ উপলক্ষে শতভাগ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বেচা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। আর টিকিট কাটা যাবে ঈদ যাত্রার ১০ দিন আগে।
মন্ত্রী বলেছেন, ঈদে গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে গ্রামে যাতায়াতের প্রয়োজন পড়ে। বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্যে ঈদ উপলক্ষে সব আন্ত:নগর ট্রেনের ডে অফ বন্ধ থাকবে।
বুধবার (২২ মার্চ) রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রার প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, একজন যাত্রী ঈদ উপলক্ষে অগ্রীম টিকিট ও ফেরত যাত্রার টিকিট উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন।
একজন নিবন্ধনকৃত যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের এনআইডি/জন্মনিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে। ট্রেনগুলো হলো- চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে ‘চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ৩, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ ও ৪, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল-৬, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল, সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদ স্পেশাল-১০, ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল ১৪ ও ১৫, পঞ্চগড় রুটে ঈদ স্পেশাল-১ ও ২।
অন্যদিকে শুধুমাত্র শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজের যাত্রীদের জন্যে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১১ ও শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১৩ ও ১৪ চলবে।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের ১৭ এপ্রিলের প্রথম অগ্রিম টিকিট ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৭ এপ্রিল পাওয়া যাবে। ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল, ১৯ এপ্রিলের টিকিট ৯ এপ্রিল, ২০ এপ্রিলের টিকিট ১০ এপ্রিল, ২১ এপ্রিলের টিকিট ১১ এপ্রিল পাওয়া যাবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা থেকে বর্হিগামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ২৫৭৭৮টি, যা শতভাগ অনলাইনে বিক্রয় করা হবে।
ঢাকা ও জয়দেবপুর থেকে ৩টি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের আরও ৩ হাজার আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে শোভন শ্রেণীর (নন এসি) মোট আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট যাত্রার দিন কাউন্টার থেকে বিক্রয় করা হবে।
টাইমস ডেস্ক, ২২ মার্চ ২০২৩