Home / চাঁদপুর / ইব্রাহিম জুয়েলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর-লুটপাট, আহত ৫
জুয়েলের

ইব্রাহিম জুয়েলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর-লুটপাট, আহত ৫

চলমান কোটা সংস্কারের আন্দোলন ইস্যুতে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং ভাংচুর করা হয়েছে।

১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ এ হামলা চালিয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্তরা।‌‌ প্রায় আধঘন্টা ধরে চলা এ সংঘবদ্ধ হামলায় ৫ জনকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে।

গুরুতর আহতরা হলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের জেঠাত ভাই মাসুদুর রহমান কাজী, মিজানুর রহমান গাজী ও মনিরুজ্জামান পিন্টু। আহত এ তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।‌

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা‌ ৭টার পর শহরের বাসস্ট্যান্ড ও‌কালিবাড়ি এলাকায় কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সংঘর্ষ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাত ৯টার পর সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা‌ বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারই অংশ হিসেবে শহরের ষোলঘর এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের বাড়ি এবং তার মালিকানাধীন ওয়েস্টান হোটেল ও মার্কেটের দোকানপাট ভাংচুর করে।

হামলাকারীদের কেউ কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে লুটপাটের চেষ্টা করেছে‌ বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান। এক পর্যায়ে তারা হামলা‌ ও ভাংচুরের আলামত মুছে ফেলতে সেখানে লাগানো প্রায় ১০/১২টি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে।

এ বিষয়ে কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল‌‌ বলেন, চলমান কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সমর্থন করেছে। এমনকি সরকার দলীয় অনেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজকে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা আমার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর করেছে তা‌ অত্যন্ত ঘৃণিত ও লজ্জাস্কর কাজ। এই হামলায় আমার আত্মীয় স্বজনসহ এখানকার ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি‌ বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন ইস্যুতে সরকার দলীয়রা আমাদের অনেক বিএনপি নেতার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করেছে। যার মধ্যে ইব্রাহিম কাজী জুয়েলের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর এবং তার ভাইদের আহত করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

স্টাফ রিপোর্টার,২৪ জুলাই ২০২৪