Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর আশিকাটিতে মৌসুমীর বিয়ে নাটক ও মামলায় যুবকরা সর্বস্বান্ত

চাঁদপুর আশিকাটিতে মৌসুমীর বিয়ে নাটক ও মামলায় যুবকরা সর্বস্বান্ত

মো. জাবেদ হোসেন :

চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে হাপানিয়া গ্রামে মৌসুমীর বিয়ে নাটক পরে স্বামীর নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি ও সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, মৌসুমী এভাবেই একের পর এক যুবকের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অর্থকড়ি লুটে নিয়ে যুবকদের পথে বসাচ্ছে।

এ নিয়ে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আশিকাটির হাপানিয়া গ্রামের মোঃ ওহাব খানের পরিবারকে মিথ্যা মামলার দিয়ে হয়রানি করছেন জেলা কারাগার সংলগ্ন এসএস ভবনের ভাড়াটিয়া কচুয়ার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের সামছুল মিজির মেয়ে মরিয়ম আক্তার মৌসুমী।

মৌসুমীর সাথে হাপানিয়ার ওহাব খানের ছেলে আলম খান (২৮)-এর সাথে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে শান্তিতে চললেও হঠাৎ করে তার শ্বাশুড়ি মনি বেগমের অত্যাচারে তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি।

এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, মরিয়ম আক্তার মৌসুমির পূর্বে ৩/৪টি বিয়ে হয়। এর নেপথ্যে কাজ করেন মৌসুমীর মা মনি বেগম। তিনি মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ফের নিয়ে আসা এখন তার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

মৌসুমীর প্রথম বিয়ে হয়, তার গ্রামের বাড়ি কচুয়া। সে সংসার টিকে মাত্র অল্প কয়দিন। এভাবে বিভিন্ন স্থানে বিয়ে দেওয়ার কারণসহ এলাকায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে এলাকাবাসীর চাপে তারা এক সময় গ্রাম ছেড়ে আশিকাটি ইউনিয়নে ভাড়ায় চলে আসে। আশিকাটিতে ভাড়ায় আসার পর আলমের সাথে তার বিয়ে দেয় পূর্বের বিয়ের কথাগুলো লুকিয়ে। মৌসুমী মা মনি বেগম মেয়েকে বিয়ে দিয়ে পুনরায় নিয়ে আসাই হচ্ছে এখন তার প্রধান ধর্ম।

আলম খান ও মরিয়ম আক্তার মৌসুমীর দাম্পত্য জীবনের তাদের দেড় বছর বয়সের শ্রাবন্তী নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে কন্যা সন্তানের ভবিষতের কথা চিন্তা করে আলম খান তার স্ত্রীর মানসিক নির্যাতন নীরবে সহ্য করতেন।

শ্রাবন্তীর জন্মের পর তাদের দাম্পত্য জীবন একবার বিচ্ছেদের উপক্রম হলেও আলম অবুঝ শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে স্ত্রী মৌসুমীর মানসিক নির্যাতনের কথা না ভেবে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে তখন তাদের সংসার টিকে থাকে।

চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী, অবুঝ শিশু কন্যার ভবিষতের কথা চিন্তা না করে মা মনি বেগমের কুপরামর্শে সংসার ভাঙ্গার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আলমকে প্রধান আসামী করে চাঁদপুর নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে গত ১৬ জুন মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৮১।

এ বিষয়ে মামলার ক’জন সাক্ষী বলেন যে, মামলায় আলমসহ তার পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টার উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেমূলক। এমনকি যে মামলায় আমাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না, আমাদেরকে না জানিয়ে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে। আমরাও কোটে দাঁিড়য়ে সেভাবেই সাক্ষী দেবো।

মামলার আসামী আলম খান জানান, আমার সংসার টিকেয়ে রাখার জন্য আমি আমার স্ত্রীর মানসিক নির্যাতন সহ্য করে সব মেনে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার শ্বাশুড়ির কথা মত সংসার ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিঁয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। যে মামলার কোনো মানে নেই। আমাদের দেশে পুরুষ নির্যাতন হলে কোনো মামলা হয়নি, শুধু নারী নির্যাতন হলেই মামলা হয়। মামলা ছাড়াও তারা বিয়ে নিয়ে আমার সাথে মিথ্যে নাটকের অভিনয় করেছে। আমার স্ত্রীর পূর্বে যে আরো বিয়ে হয়েছে, সে বিষয়েও তারা লুকিয়ে রেখেছে। এখন আবার আমার কাছ থেকে নেওয়ার জন্য নারী নির্যাতন মামলা করেছে। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ০৮:৫১ অপরাহ্ন, ২০ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, রোববার ০৫ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি