শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুর আর্দশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে নকলের মহোৎসব

ডিএইচএমএস পরীক্ষায় শিক্ষকদের সহোযোগিতায়

চাঁদপুর আর্দশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিএইচএমএস ফাইনাল পরীক্ষায় কলেজ শিক্ষকদের সহোযোগিতায় নকলের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর জেলার শহরের খলিশাডুলী গ্রামের নির্জন জায়গায় একমাত্র হোমিওপ্যাখি মেডিকেল কলেজ চাঁদপুর আর্দশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিএইচএমএস ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ফাইনাল পরীক্ষা কলেজ শিক্ষকদের সহোযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীরা সম্পূর্ণ বই দেখে দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে, পরীক্ষার্থীরা কোনো প্রশ্নের উত্তর না পেলে শিক্ষকরা তা বই থেকে বের করে দিয়ে সহযোগিতা করছে।

এছাড়া পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পূর্বে একটি প্রশ্ন ফাঁস করে ছাত্রছাত্রীদেরকে দেওয়া হয় যাতে তারা যে সব প্রশ্ন পরীক্ষায় এসেছে সেগুলো গাইড বই থেকে পাতা ছিঁড়ে রাখতে পারে।

শিক্ষকরা পরীক্ষা শুরু হলে হল থেকে বের হয়ে শীত থেকে বাঁচতে রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকে আর পরীক্ষার্থীরা হলের ভেতরে বই দেখে দেখে পরীক্ষা দেয়।

আর এ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুরের এসি (ল্যান্ড) চৌধুরী আসরাফুল করিম গাড়ি নিয়ে কলেজে আসেন কিনা তা দেখার জন্য কলেজের রাস্তার মাথায় এক লোক দাঁড় করিয়ে রাখেন। যখনই ম্যাজিস্ট্রেট-এর গাড়ি কলেজের রাস্তায় প্রবেশ করে তখনই মোবাইলে সে লোক কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয় ম্যাজিস্ট্রেট আসার সংবাদ, তখন পরীক্ষাথীরা সর্তক হয়ে যায়, ম্যাজিস্ট্রেট যে কতক্ষণ কলেজে থাকেন পরীক্ষার্থীরা সর্তক হয়ে পরীক্ষা দেয়, ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার শুরু বই দেখে দেখে পরীক্ষা।

রোববার পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথম বর্ষের মেটেরিয়া মেডিকা ও ৩য় বর্ষের হোমিও প্যাথিক প্যাকট্রিস অব মেডিসিন বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আজ রোববার দুপুরে চাঁদপুরের কয়েকজন সাংবাদিক হলে প্রবেশ করলে দেখা যায় পরীক্ষার্থীরা দেদারছে গাইডের পাতা দেখে দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। আর হল পরিদর্শক গাইড থেকে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিতে সহযোগিতা করছে। অনেকে আবার ছাত্র ছাত্রীদের নকল করার সুযোগ দিয়ে নিজেরা বাইরে গিয়ে রোদ্র পোহাচ্ছে। তেমনি একটি হলে গিয়ে হল পরিদর্শককে নিজেই ছাত্রছাত্রীদের নকলে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। এসময় সাংবাকিদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি হল ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। তার হল রুমে গিয়ে নকলের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হয়েছে।

নকলের ব্যাপারের কলেজের অধ্যক্ষ ও হল সুপার ডা. মোজাম্মেল হক পাটোয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি থমকে গিয়ে নীরব থাকেন।

তিনি বলেন, হলে নকলের ব্যপারে আমি অবগত নই। যারা হলের দায়িত্বে আছে তারাই ভালো জানে।

এদিকে কলেজে এ বছর ডিএইচএমএস ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম বর্ষে ৫০ জন ও ৩য় বর্ষে ৬১ জন অংশগ্রহণ করেছে। এসকল পরীক্ষার্থীদের নকলের সহযোগিতা ও পরীক্ষায় পাস করানোর নামে মোটা অংকের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক হাতিয়ে নিয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছে। এছাড়া প্রতি পরীক্ষায় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙ্গিয়ে বাড়তি অর্থ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন।

গাইড দেখে যদি পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা আর এই যদি হয় পরীক্ষার মান তাহলে এই চিকিৎসকদের দিয়ে কী চিকিৎসা পাবে সাধারণ মানুষ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট|| আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬, রোববার

এমআরআর  

Share