আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আগের তুলনায় দিন দিনই বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতিতে গত এক দুই মাস ধরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে গেলেও বর্তমানে আবার তার অবনতি হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আর এর কারন, মাস্ক ব্যবহার না করা, জনসমাগম এরিয়ে না চলা এবং জনসচেতনতার অভাবকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। তাই আগের তুলনায় সরকারি এ হাসপাতালটিতে এখন করোনা পরীক্ষার রোগীর সংখ্যা এবং করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে গত ৭ মাসে করোনার উপসর্গ নিয়ে সর্বমোট ১২’শ ৪৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ৩,শ ৫১ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ্য হয়েছেন ৩,শ, ১ জন।
আর বাকি ৮৯৪ জন ছিলেন করোনা আক্রান্তের বাহিরে। অর্থাৎ করোনা নেগেটিভ।
গত সাত মাসে সর্বমোট ১২’শ ৪৫ জন রোগী ভর্তির মধ্য থেকে এ পর্যন্ত সর্বোট ৭০ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। এসব মৃত্যু রোগীর মধ্যে ২২ ছিলেন করোনায় আক্রান্ত,আর বাকি ৪৮ জন মারা গেছেন শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে এবং করোনা উপসর্গে নিয়ে।
খবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমানে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার আইসোলেশন ইউনিট সর্বমোট ১৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে ৬ জন রোগীর করোনা পজেটিভ। বাকি ১০ জনের করোনা নেগেটিভ। বাকি ওই ১০ জন হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
গরমের রেশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে শীতের আবহাওয়া পড়তে শুরু করেছে আর এই কারনেই চাঁদপুরে করোনার লক্ষন খারাপের দিকে দাবিত হচ্ছে। গত এক-দেড় মাস আগে সরকারি হাসপাতালে করুণা পরীক্ষার জন্য যে পরিমাণ রোগী হত এখন দিন দিন ছেলেদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। একই সাথে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আর এম ও ডাক্তার সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন গত এক দেড় মাস ধরে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ রোগী হতো। বর্তমানে গত কয়েকদিন ধরে সে তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩০/৩৫ জন রোগী করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে আসেন।
১ নভেম্বর রোববার দিন ৬৬ জন রোগী নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন। এসব পরীক্ষার সাথে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন মানুষজন নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার না করায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় এবং জনসমাগম এড়িয়ে না চলা সহ জনসচেতনতার অভাবেই করোনার লক্ষণ এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৪ নভেম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur