চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক দিনে ২জন মারা গেছেন। এদের একজন রোববার সকালে ও অন্যজন বিকেলে মারা গেছেন। তাদের দু’জনের বাড়ি হাজীগঞ্জে।
রোববার সকালে ভর্তির ৫০ মিনিটের মাথায় মারা যান মোস্তফা কামাল (৬০)। তিনি করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা এলাকার সাতবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল করোনার উপসর্গ নিয়ে রোববার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে আসেন। আইসোলেশনে ভর্তির পর সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় তিনি মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে।
অন্যদিকে বিকেল ৩টার সময় একই উপজেলার মকিমাবাদ এলাকা থেকে আব্দুল কাদের পাটওয়ারী (৬৫) নামের এক লোক একই উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। তাকে অক্সিজেন দেয়ার পরপরই তিনি মারা যান। তিনি মাত্র ১০ মিনিট আইসোলেশনে ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়।
এদিকে রোববার ৩১ মে দু’দফায় চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেড়েছে ১৪ জন। এ নিয়ে চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৫জন।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরের ৬জন ও ফরিদগঞ্জের ৫জন রয়েছেন। সদরের ৬জনের অবস্থান হলো- মৈশাদী, মিশন রোড, বড় স্টেশন, নতুন বাজার, স্ট্র্যান্ড রোড ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায়।
এর আগে রোববার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলার আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের ২জন ও মতলব উত্তরের ১জনের করোনা শনাক্তের খবর জানায় সিভিল সার্জন অফিস।
সূত্র আরো জানায়, রোববার মোট ৮১টি রিপোর্ট এসেছে।
এদিকে চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের পরিসংখ্যানে দেখা যায় মোট শনাক্ত ১৯৫ : চাঁদপুর সদর ১০৯ (শহরেই ১০০), ফরিদগঞ্জ ৩৪, মতলব উত্তরে ৮, হাজীগঞ্জে ১১, মতলব দক্ষিণ ৮, কচুয়ায় ৯, শাহরাস্তিতে ১১ ও হাইমচরে ৪জন।
জেলায় মোট মৃত ১৫ : চাঁদপুর সদরে ৫, ফরিদগঞ্জে ৩, কচুয়ায় ২, হাজীগঞ্জে ২, শাহরাস্তিতে ১ ও মতলব উত্তরে ২।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩ ও হাজীগঞ্জে ১ জন মারা গেছেন। সবমিলিয়ে চাঁদপুর জেলার করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।
এসব তথ্য জানান সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১ জুন ২০২০