চাঁদপুর

চাঁদপুরে ৯ হাজার ৬শ’ ৯০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত

চলতি বছরের আগস্ট মাসে অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলার ১৩ হাজার ৫শ’ ৩৫ জন কৃষকের ৯হাজার ৬শ’ ৯০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

জুন মাসে রোপা আমন লাগাতে শুরু করে কৃষকরা। জুলাই ও আগষ্ট মাসে তাদের রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দ্বিতীয়বার আরা লাগানোর সুযোগ ছিল না। চলতি মাসে আড়াই হাজার কৃষককে প্রনোদনা দিলেও কোন ধরনের সহায়তা পায়নি জেলার প্রায় ১১হাজার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর চাঁদপুর জেলায় রোপা আমন লাগানো হয় ২৪ হাজার ৩শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৯হাজার, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৭০৯০ ও হাইমচর উপজেলায় ৮ হাজার ২শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে।

আর এ ৩ উপজেলার কৃষকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৬৩৩ ফরিদগঞ্জে ১১৬৮ ও হাইমচরে ৮০০ হেক্টর জমির রোপা আমন জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়েগেছে।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নরেশ চন্দ্র দাস জানান, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকার মধ্যে সদর ও হাইমচর উপজেলা রয়েছে। এ দুই উপজেলায় পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অন্যান্য উপজেলায় রোপা আমন ভালোই হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবীদ আলী হোসেন জানান, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করার চেষ্টা করছেন। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২হাজার ৫শ’ কৃষককে ভুট্টা, শরিষা, গ্রীষ্মকালীন মুগের বীজ ও সার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকাভুক্ত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। আশকরি এসব কৃষকরা এসব বীজ ও সার কাজে লাগিয়ে কিছুটা হলে তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:৩০ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Share