চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অভিযানে হরিণা ফেরিঘাট থেকে ৮৪ মণ ইলিশসহ মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ট্রাকের দুই চালক ও মালিক প্রতিনিধিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১১ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় চাঁদপুর নৌ-থানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল হাসান।
কারাদÐপ্রাপ্তরা হলেন মৎস্য ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি চট্টগ্রাম বাঁশখালি থানার শেখের খীল এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আবু তালেব (৩৫), গাড়ীর চালক বাঁশখালী থানার মাওলা পাড়া পূর্বাঞ্চল এলাকার রহুল আমিনের ছেলে মাহবুব আলম (৩০) ও চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া থানার সোনারগাঁও তালুকদার বাড়ীর শাহ্ আলমের ছেলে ইসকান্দার (২৮)।
চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট নৌ-ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন জানান, ইলিশ মাছসহ ট্রাকটি মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে হরিণা ফেরিঘাট দিয়ে শরীয়তপুর যাচ্ছিল। তাদেরকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করে ইলিশ মাছের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে আটক করা হয়। সকাল ১১টায় তাদেরকে চাঁদপুর নৌ-থানার হেফাজতে আনা হয়।
মৎস্য ব্যবসায়ীর মালিক প্রতিনিধি আবু তালেব জানান, চট্টগ্রাম সাগর অঞ্চলে বড় ইলিশ আহরণ করতে নিষেধ নেই। ওই এলাকার মৎস্য বিভাগ আহরণকৃত মাছের সাইজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। বড় সাইজের ইলিশের চালান নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে মাগুড়া জেলার উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন। তারা জানতেন না চাঁদপুর জেলায় ইলিশ পরিবহণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের প্রচারণা তাদের জেলায় নেই। জানা থাকলে এই রূটে আসতেন না।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, আটক ট্রাকের (ঢাকা মেট্টো ড-১১-৫৯৩৬) মধ্যে ১৪৫টি প্লাস্টিকের ঝুড়ি, ৩টি ড্রামের মধ্যে ৮৪ মণ ইলিশ পাওয়াগেছে। এসব ইলিশের মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ টাকা। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে এসব ইলিশ জেলা প্রশাসকের নির্র্দিষ্ট হিমাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক ট্রাকটি নৌ-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক