Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে ৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ
Lone

চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে ৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ

চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে আগস্ট ২০১৭ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮২ কোটি টাকা ২৯ লাখ টাকা। জেলার সকল সোনালী,জনতা,অগ্রণী , কৃষি,কর্মসংস্থান,রূপালী ও বেসিক ব্যাংকে ওই টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে পড়ে আছে ।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্র মতে,সোনালী ব্যাংকের ২০ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা,অগ্রণী ব্যাংকের ২০ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা,জনতা ব্যাংকের ১৫ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা,কৃষি ব্যাংকের ২৮ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ।

এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৪ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা , রূপালী ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা । এ ছাড়াও জেলায় অবস্থিত বেশ ক’টি বেসরকারি ব্যাংকে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ।

অর্থমন্ত্রীর সংসদে বলেছিলেন ,‘সারা দেশে ৪১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। দেশেরে ৫৫ ব্যাংকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে বর্তমানে ২ লাখ ২ হাজার ৬ শ’২৩ জন খেলাপি রয়েছে।’

চাঁদপুরের সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.দেলোয়ার হোসেন আব্বাসী চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘খেলাপি ঋণ গ্রহীতার সাথে ব্যাক্তিগত সকল প্রকার যোগাযোগ করার পর কোনো উন্নতি না হলে চিঠি প্রদান ও নির্ধারিত সময় অতিক্রম হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা ঋজু করার নিয়ম রয়েছে । তার আগে বন্ধকি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামেও দেয়া হয়।’

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো.আলী আজগর বলেন,‘ব্যাক্তিগত যোগাযোগের পর ৩টি নোটিশ দেয়া হয় ও পরবর্তীতে
অর্থঋণ আদালতে মামলা দেয়া হয়।’

অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গীতা রাণী মজুমদার এক প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘কৃষিঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি কৃষকদের বিরুদ্ধে সাধারণত: সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সার্টিফিকেট মামলা দেন। ব্যাংক দেয় না। অন্যান্য খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ব্যাংক পারত পক্ষে অর্থঋণ আদালতে মামলা দিতে চায় না। তবে সরকারি অর্থ আদায়ের স্বার্থে সকল প্রকার কার্যক্রম চালানোর পর খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে তখন মামলা দেয়া হয় ।’

চাঁদপুরের জনতা ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো.মফিজুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘একজন ঋণগ্রহীতা যে কোনো কারণেই খেলাপি হওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক তার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ রক্ষা করে চলি। ব্যাংকের সরকারি অর্থ আদায়ে আরো কিছু দিন সময় দিয়ে অপেক্ষা করা হয় । এর পর বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করতে হয়।’

প্রতিবেদক:আবদুল গনি
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৭:৫৫ পিএম,৮ ডিসেম্বর ২০১৭,শূক্রবার
ডিএইচ