ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এতে নদীবিধৌত জেলাগুলোর অন্যতম চাঁদপুরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর সোমবার ভোররাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টিতে মানুষ ছাতা মাথায় যে যার কর্মস্থলে ছুটে চলেছেন। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিপদপ্তর থেকে চাঁদপুরকে ৭নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচল।
এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদপুরে সাত নম্বর বিপদ সংকেতের কথা জানান।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন জানান, সিত্রাং মোকাবেলায় চাঁদপুর নদী বন্দর এলাকায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমন্বয় করবেন। অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজকে সাত নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতিতে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে এবং সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়্যারলেস সুপারভাইজার মো. সোয়েব জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের চাঁদপুরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৫.৬। আপাতত সাত নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৪ অক্টোবর ২০২২