চাঁদপুরের ৩ ব্যাংকের শাখাতে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করেছে ৫ শ’৬০ কোটি ও লাভ করেছে ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সোনালী ব্যাংকের ২০ টি শাখার তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে , কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জুলাই থেকে ২০১৮ পর্যন্ত লাভ করেছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ৯০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ।
অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ ৮ কোটি ৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ৩০৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা । জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ করেছে ৩ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ১৬১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ।
চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৬০ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে।
চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নি আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এ সব র্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে ।
অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যাবস্থাপক গীতারাণী মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক বুথের মাধ্যমেই টাকা আদায় করছে ও নতুনভাবে ঋণও বিতরণ করছে।’
প্রতিবেদক – আবদুল গনি
আপডটে,বাংলাদশে সময় ৫:০৫ পিএম,৪ জুলাই ২০১৮,মঙ্গলবার
ডিএইচ