Home / কৃষি ও গবাদি / চাঁদপুরে ৫শ হেক্টরে ১০ হাজার মে.টন ক্ষিরা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা
ATTACHMENT DETAILS Khira-Chasabad-

চাঁদপুরে ৫শ হেক্টরে ১০ হাজার মে.টন ক্ষিরা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল । মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।

ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কমবেশি হারে ক্ষিরা উৎপাদন হয়ে থাকে । নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা ও চরাঞ্চল গুলোতে ব্যাপকহারে এ ক্ষিরার চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে ।
জেলার ১১ টি নদীমার্তৃক চরাঞ্চলে এর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। এটি দু’মাসের ফসল। বপনের ৩০ দিনের মধ্যেই মাঠ থেকে ক্ষিরা তোলা শুরু হয়। আমাদের সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান গুলোতে এর চাহিদা ব্যাপক। ধনী-গরীব সকল পরিবারেই এ চাহিদা বিদ্যমান থাকায় এর চাষাবাদের পরিমানও বাড়ছে। চাষিরা দামও ভালো পাচ্ছে।

চলতি মৌসুমে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় এবার ৫ শ’ ৩৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও ১০ হাজার ২ শ ৩ মে.টন ক্ষির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে খাবার বাড়ি চাঁদপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক এক তথ্যে জানা গেছে।

কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায় চাঁদপুর সদরে ৩,৬১০ মে. টন, মতলব উত্তরে ৩০৪০ মে. টন, মতলব দক্ষিণ ৩৮০ মে.টন, হাজীগঞ্জ ১৫২০ মে.টন, শাহারাস্তি ৬৬৫ মে.টন, কচুয়ায় ২৮৫ মে.টন, ফরিদগঞ্জে ৪৭৫ মে.টন এবং হাইচমচরে ২২৮ মে.টন ক্ষিরাই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমানে চাঁদপুরের সব উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ৪ শতাধিক হাট বাজারের শত শত হোটেল-রেস্তোরাঁয় ক্ষিরার চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারের ছোট বড় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান,ওয়াজ, দোয়া ও বিয়েতে এর চাহিদা অপ্রতিরোধ্য বলে কৃষি বিভাগ জানান।

চিকিৎসকদের মতে,ক্ষিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি ও চর্বি দমনের একটি টনিক হিসেবে কাজ করে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি,২৭ নভেম্বর ২০১৯