চাঁদপুরের ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে চলতি অর্থবছরের জুলাই হতে অক্টোবর পর্যন্ত এ ৪ মাসে আড়াই লাখ প্রবাসী থেকে ৬০৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করেছে । বর্তমানে প্রাণগাতী করোনার কারণে চাঁদপুরের প্রবাসীরা বেশ সমস্যার মধ্য থেকেও তারা তাদের পরিবার পরিজনের জন্যে বিবিন্ন ভাবে টাকা পাঠানো অব্যাহত রযেছে ।
সংশ্লিষ্ট চাঁদপুরের ৪ রেমিট্যান্স অর্জন আঞ্চলিক অফিস থেকে এ তথ্য ৮ নভেম্বর দুপুর জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোনালী ব্যাংক ২০২০ সালের জুলাই হতে অক্টোবর পর্যন্ত ১৪১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ৮৪ কোটি ৮ লাখ টাকা অগ্রণী ব্যাংক ৩৩৪ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৪৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক তথ্যে জানা গেছে, পৃথিবীর ১৬২টি দেশে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে। চাঁদপুরের প্রবাসী সংখ্যা ৩ লাখ ৫৩ লাখ ।
প্রবাসীর বেলায় দেশের অন্যান্য জেলার মধ্যে চাঁদপুরের অবস্থান ৮ম ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার সৌদি আরব । এর পরের স্থান হলো কুয়েত,কাতার, বাহরাইন,লেবানন,জর্ডান ও লিবিয়া । নদীমাতৃক চাঁদপুরের জন্য এটি একটি বিশাল প্রাপ্তি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে চাঁদপুরের প্রবাসীদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব দেশগুলোতে শ্রম ব্যয় করছেন। মালয়েশিয়া,ইতালি, ফ্রান্সসহ,সিংগাপুর,জাপান,দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের প্রবাসী কর্মজীবী রয়েছে।
তাঁরাই এসব র্যামিটেন্স পাঠাচ্ছেন। চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে বিভিন্ন অর্থলগ্নী আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে এসব র্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে । কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছেন। অনেক প্রবাসী গ্রাহক তাদের ব্যক্তিগত হিসাবেও অর্থ প্রেরণ করেন।
আবদুল গনি , ৮ নভেম্বর ২০২০