Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরের ৪১ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা
চাঁদপুরে ৪১ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

চাঁদপুরের ৪১ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধেীত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। সেই অনাদিকাল থেকেই কৃষিপণ্য উৎপাদনে চাঁদপুরের সু-খ্যতি রয়েছে।

মেঘনা, পদ্মা , ডাকাতিয়া ও মেঘনা ধনাগোদা নদী দ্বারা বেষ্টিত চাঁদপুরের মাটি ও আবহাওয়া কৃষি উপযোগী একটি জেলা যেখানে সব রকমের কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে।

এর মধ্যে পাট অন্যতম । যার ফলে ডব্লিউ রহমান জুট মিল, স্টার আল কায়েদ ও হামিদিয়া জুট মিল গড়ে উঠেছিল। সে সুবাধেই চাঁদপুরে কম-বেশি পাট চাষাবাদ হযে থাকে ।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এবার (২০১৭-২০১৮ খরিপ-১) ৪ হাজার ৩শ’ ৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ হাজার ৭ শ’ ৫৭ বেল।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, এ বছর চাঁদপুরের ৮ উপজেলার চাঁদপুর সদরে ১ হাজার ৫ শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৫ হাজার ৬ শ’ ৩১ বেল ।

মতলব উত্তরে ৩ শ’ ১৪ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৩ হাজার ৯ শ’ ৫৫ বেল ।
মতলব দক্ষিণে ৬ শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬ হাজার ২ শ’৪৫ বেল।

হাজীগঞ্জে ৬ শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬ হাজার ৭ শ’ ৩৬ বেল ।

শাহরাস্তিতে ৭৫ হেক্টর জমিতে দেশী ও তোষা জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭ শ’১২ বেল ।

কচুয়ায় ১ শ’ ২৯ হেক্টর জমিতে দেশী ও তোষা জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫ হাজার ১শ’ ৫২ বেল।

ফরিদগঞ্জে ১ শ’ ৫৪ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা ও মেস্তা জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ হাজার ৪ শ’ ৮৪ বেল ।

হাইমচরে ৩ শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৩ হাজার ১ শ’৭০ বেল ।

সূত্র জানায়, এ বছর চাঁদপুরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ৩ শ’হেক্টর জমিতে দেশি, তোষা, মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার বেল এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদী।

তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাটের দাম বেশি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে কৃষকরাও আগামীতে পাট চাষে আরও উৎসাহিত হবেন।

প্রতিবেদক- আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯: ২০ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply