চাঁদপুর

চাঁদপুরে ৩ মাসে ব্যাংকগুলোর ৪১৯ কোটি টাকার র‌্যামিটেন্স অর্জন

চাঁদপুর দেশের অন্যতম ব্যবসাকর, কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনকারী অঞ্চল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক উন্নত । চাঁদপুরের ৪ ব্যাংকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই,আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ ৩ মাস পর্যন্ত বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করেছে ৪১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

প্রাণঘাতী করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অর্জনের হার অনেকটা কমে গেছে বলে সংশ্রিস্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তাগণ জানান। তবে জুলাই মাসে কুরবানির ঈদ হওয়ায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স খাতে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পড়ে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে সোমবার ১৯ অক্টোবর এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জুল ২০২০ পর্যন্ত বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা । সোনালী ব্যাংকের ২০টি শাখায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ১১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা । অগ্রণী ব্যাংকের ২০ টি শাখায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ২৭০ কোটি টাকা ৮১ লাখ । জনতা ব্যাংকের ১৭টি শাখায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৮২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ।

চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৬০ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র‌্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে।

চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র‌্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নি আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এ সব র‌্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে ।

সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.খায়রুল এনাম ভূঁইয়া সোমবার বলেন,‘বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জনের ক্ষেত্রে মহামারী করোনর কারণেও পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে আমাদের র‌্যামিটেন্স যোদ্ধারা লক ডাউনে থাকা সত্বেও বিপুল পরিমাণ র‌্যামিটেন্স পাঠাচ্ছে। ইহা দেশের উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। তগ বচরের তুলনায় এবার অনেকটাই বেশি। এখন বিশ্ব পরিস্থিতিতে খাটতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’

অগ্রণী ব্যাংকের উপ-মহাব্যাবস্থাপক গীতারাণী মজুমদার সোমবার বলেন,‘প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম।

প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। র‌্যামিটেন্স হলো দেশের উন্নয়নের াআর্শিবাদ। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক মো.হায়াৎ মাহমুদ বলেন,‘রেমিটেন্স ও গার্মেন্টস খাত আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আমাদের দেশের উন্নয়নের অংশীদার। ব্যাংকিং খাতে মুদ্রামান ঠিক রাখতে অবদান তাদের ।’

জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার ইলা রাণী দত্ত বলেন,‘মুলত রেমিট্যান্স আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলছে। গ্রামের দিকে তাকোরে বুঝা যায় প্রতিটি বাড়িতে এখন পাকা দালান। অর্থনেতিকভাবে তারা দেশ এগিয়ে নিচ্ছে ।’

আবদুল গনি,১৯ অক্টোবর ২০২০

Share