চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের শেষ দিকের জনজরিপে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর কারণে বিএনপির প্রার্থীদের পাল্লা ভারী বলে জানা গেছে।
যদিও এটি স্থানীয় নির্বাচন, তবে এবারেই প্রথম মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নির্বাচন।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবউল আলম লিপন। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দুই বারের মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান খান। দীর্ঘ ১১ বছর বর্তমান মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের চেয়ার হটাতে বিএনপির আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল মজুমদার চাঙ্গা মেজাজে মাঠে রয়েছেন।
সরজমিনে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পৌর ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল মজুমদার ১২ হাজার ভোটের মধ্যে ৬/৭ হাজার ভোট আদায় করে ছাড়বেন। তাই তারা ধারণা করছে, বিএনপির প্রার্থীর ধানের শীষ মার্কাকে হারিয়ে জয়ের দ্বারপান্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুব উল আলম লিপনের নৌকা মার্কা এগিয়ে রয়েছে।
এদিকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে যদিও দলীয়ভাবে গণ্য না করে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী ব্যক্তি ইমেজে নির্বাচন করছে। তারপরও প্রচার-প্রচারণায় শেষ পর্যন্ত উঠে আসবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত ক’জন প্রার্থী।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে কিছু কিছু ওয়ার্ডে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একাধিক প্রার্থী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছে। এসব ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে পৌর ১, ৪, ৬, ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থিত ১ জন প্রার্থী আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত ক’ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছে। দলীয় হিসেব করলে এসব ওয়ার্ড থেকে বিএনপির সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিজয়ের দ্বারপান্তে রয়েছে।
আসছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনকে ঘিরে যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই যেন হতাশার চাপ দেখা দিয়েছে প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটার ও দলীয় সমর্থকদের মাঝে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সাথে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মাঠে তেমন দেখা না যাওয়ায় দলীয় সমর্থকদের মাঝে হতাশার চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রর্তীকে নির্বাচন হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সমর্থন না পেয়ে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় অনেক নেতা-কর্মীর মাঝে প্রথম দিকে হতাশ হতে দেখা যায়।
তবে শেষদিকে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দূরত্ব ছিলো তা অনেকটাই নিরসনের ফলে বিজয় ছিনিয়ে আনার সম্ভাবনা লক্ষ্যণীয় বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
সোমবার মধ্যরাত থেকে পৌর নির্বাচনের প্রার্থীদের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ায় ভোটারাও নীরবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ের লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বর বুধবার ভোট প্রদান করবে।
জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার
এমআরআর