আনন্দঘন ও উৎসবমূখর আয়োজনের মধ্যদিয়ে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের ব্যবস্থাপনায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ১৬ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা ১১টায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এমপি।
জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমানে সভাপ্রতিত্বে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুর পরিচালনায় উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম। শুরুতেই ধর্মীয় গ্রন্ধ থেকে পাঠে মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে অতিথিগণ সমবেতস্বরে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যদিয়ে জাতীয় ও ক্রিড়া পতাকা উত্তোলনের এবং শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপরে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে পরিবেশন করে পুনাক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা। উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় চাঁদপুর পৌরসভা একাদশ বনাম সদর উপজেলা একাদশ। খেলায় চাঁদপু সদর উপজেলাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে চাঁদপুর পৌরসভা।
এর আগে উদ্বোধনপর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানা এবং যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সকল ধরনের অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে রাখার জন্যই প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। এ ধরনের আয়োজনে তৃণমূল থেকে নতুন খেলোয়াড় তৈরি হবে। এরাই এক সময় জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে। এর ফলে বাংলাদেশ ফুটবল খেলায় আরো এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ক্রীড়ায় আমাদের অনেক সাফল্য রয়েছে। আজ সারা বিশ্ব দেখছে আমরা কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। ফুটবলে আমরা একটু ঝিমিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কিশোরিরা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমি বিশ্বাস করি চাঁদপুরে যারা অনেকদিন ধরে তৃণমূল থেকে খেলে এসে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) খেলছে তাদের মাধ্যমে আমাদের আগামি দিনের জাতীয় দল তৈরি হবে। তাদের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে ফুটবলে আমরা সরব অবস্থা ঘোষনা করতে পারবো এবং বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, জাতির পিতার ভাষণ আজ বিশ্বে স্বীকৃত। এই রণধ্বনি দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিলো। কিন্তু যারা স্বাধনীতাকে উল্টে দিতে চেয়েছিলো তারাই একটা সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিলো। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য আমরা সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াবো। আর সে জন্যে আমরা আগামি নির্বাচনে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবো এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবো। যারা মাধ্যমে এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার সঠিক গন্তব্যে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মঈনুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, শাহীর হোসেন পাটওয়ারী, এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মজিবুর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী, জেলা শিক্ষা অফিসার সফিউদ্দিন, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির,
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ- সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল কুমার ঘোষ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম শাহেদুল হক, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডাঃ ইলিয়াছ, জেলা তথ্য অফিসার নুরুল হক, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা স্কাউট কমিশনার অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর পৌরসভা সচিব আবুল কালাম ভূইয়া, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইবরাাহিম খলিল, কাউন্সিলর, ডিএম শাহাজাহান, মাহাফুজুর রহমান দোলন, নাছির চোকদার, মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, তরপুরচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল প্রমুখ।
এছাড়াও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ আট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র, ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮