চাঁদপুরের ৫ পৌরসভায় ৪ মেয়র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র প্রত্যার করে নিয়েছেন ৩১ কাউন্সিলর প্রার্থী। রোববার এসকল প্রার্থীরা তাদের স্ব স্ব উপজেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এতে সর্বশেষ চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩৬।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে উপজেলা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায়,
মতলব পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৮ প্রার্থী। এই পৌরসভায় এখন মেয়র পদে ৩, কাউন্সিলর পদে ৩৮জন,
সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা প্রর্র্থীরা হলেন, মেয়র পদে (স্বতন্ত্র) মোঃ আল আমিন ফরাজী, সংরক্ষিত-১নং ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য রেহেনা আক্তার রিনা, সাধারণ কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ডের হোসেন আহম্মেদ কঁচি, ২নং ওয়ার্ডের মাকসুদুল আলম পাটোয়ারী, রেজাউল করিম রিপন, ৪নং ওয়ার্ডের আনিসুর রহমান আনু, ৬নং ওয়ার্ডের আতাউর রহমান, ৯নং ওয়ার্ডের মোশারফ হোসেন হাজরা।
ছেঙ্গারচর (মতলব উত্তর) পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্র্যাহার করেছেন ৬ কাউন্সিলর প্রার্থী। ৪নং ওয়ার্ড থেকে দুই জন, ৫নং ওয়ার্ড থেকে এক জন, ৬নং ওয়ার্ড থেকে দুই জন ও ৯নং ওয়ার্ড থেকে এক জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এই পৌরসভার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীরা হলেন- আলমগীর হোসেন, মজিবুর রহমান, ওমর খান, চাঁন মিয়া, জাকির হোসেন ও বাবুল লিটন।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরা হলেন, স্বত্রন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী, জাতীয় পাটি মনোনীত প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, বর্তমান পৌর মেয়রের ভাই ছাত্রদল নেতা ইমাম হোসেন। এছাড়া ২নং ওর্য়াডের কাউন্সিলার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, ৩নং ওর্য়াডের কাউন্সিলার প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী, ৫নং ওর্য়াডের কাউন্সিলার প্রার্থী মো: খলিলুর রহমান, এবং ৯নং ওর্য়াডের কাউন্সিলার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন । ফলে এই পৌরসভায় নির্বাচনী মাঠে মেয়র পদে ৪জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলার পদে ৯জন এবং সাধারণ কাউন্সিলার পদে ৫৪জন নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন।
হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৭ কাউন্সিলর প্রার্থী। প্রত্যাহারকৃত প্রার্থীরা হলেন, পৌর ৩নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন কবির (বিএনপি), মোঃ জসিম উদ্দিন (আ’লীগ) ও খাজা খাইরুল বাসার জুয়েল (আ’লীগ) । ৯নং ওর্য়াড থেকে মোঃ খোরশেদ আলম (আ’লীগ) ও আইয়ুব আলী (আ’লীগ) । ১০নং ওর্য়াড থেকে সৈয়দ আলী আজ্জম (আ’লীগ) ও শাহাদাত (বিএনপি)।
প্রসঙ্গত, হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৭জন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে ১জন মেয়র প্রার্থীর মনোননয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৬জন মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সবাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৫১প্রার্থীর প্রার্থীদের মধ্যে যাচাই বাছাই ও আপিলে ৫জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ৭জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বর্তমানে ৩৯জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সংরক্ষিত ১৪ কাউন্সিলরসহ এই পৌরসভায় সর্বমোট নির্বাচনে প্রতিদন্ডিতা করবে ৫৯ জন প্রার্থী।
কচুয়া পৌরসভা নির্বাচন থেকে সর্বশেষ ৮জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। রবিবার তারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেনের কার্যালয়ে এসব মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। এই পৌর সভায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন, ১ নং ওয়ার্ডে মোঃ ইলিয়াছ মিয়াজী, ৪নং ওয়ার্ডে মোঃ আবু সাঈদ, ৫নং ওয়ার্ডে মোঃ শাহজাহান মজুমদার ও শাহজালাল সওদাগর রাজু, ৭ নং ওয়ার্ডে আলী আক্কাস ও তাফাজ্জল হোসেন তপু, ৮নং ওয়ার্ডে আঃ মমিন ও ৯নং ওয়ার্ডে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল খায়ের রুমি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর এই পৌরসভায় ৪ মেয়র, ৯ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ২৭ সাধারন কাউন্সিলরসহ সর্বমোট ৪০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
সোমবার সকালে স্ব স্ব পৌরসভার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে জানিয়েছে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিস।
আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট
।। আপডেট : ১১:১৮ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার
ডিএইচ