চাঁদপুর

চাঁদপুরে ৩য় দফায় বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন ও মানববন্ধন

ঢাকায় বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায়, দোষিদের ফাঁসি, নিরাপদ সড়ক ও ৯ দফা চাঁদপুরে তৃতীয় দফায় বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা বিভিন্নভাবে শহরের বিভিন্নস্থানে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

তবে স্থানীয় প্রশাসনের শক্ত অবস্থান ও বুদ্ধিমত্তার কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা মাঠে থেকে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফার মতো এই আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়। তাছাড়া বেশকিছু স্থানে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিতে চাইলে যুবকরা তাদের ধাওয়া করে।

রোববার সরেজমিনে শহরের বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায়, বেলা ১১টার সময় শহরের বাসস্টেশন এলাকায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, ড্যাফোডিল স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষষ্ঠানে একদল শিক্ষার্থী আন্দোলনের চেষ্টা করে।

পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সেখান থেকে সরে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার সময় শহরের কালিবাড়িতে প্রায় শাতাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে জড়ে হওয়ার চেষ্টা করে। ওইস্থানে এসময় পুলিশবক্সের সামনে থাকা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে শিক্ষার্থীরা দৌড়ে গিয়ে কালিবাড়ি রেলওয়ে কোর্টস্টেশন আশ্রয় নেয়।

একপর্যায়ে সেখানে তারা পূনরায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ১০-১২ জনের একদল যুবক তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়েছে। দুপুর দেড়টার সময় শহরের হাসান আলী সপ্রবির সামনে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে দাঁড়ায়। সেখানে প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে তারা নিরাপদ সড়কের দাবী এবং নিহত শিক্ষার্থীদের বিচার চেয়ে শ্লোগান দেয়।

পরে চাঁদপুর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের দু’টি টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝানো চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কথা না শোনায় পুলিশ উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে কলেজে গিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে আসেন।

শিক্ষকরা এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের বাড়িতে চলে যাওয়া নিদের্শ দেন। শিক্ষকদের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামিয়ে বাড়ি চলে যায়। একই সময়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে আন্দোলন করার চেষ্ট করে শিক্ষার্থীরা। তবে সেখানে পুলিশের উপস্থিতি থাকায় তারা ব্যর্থ হয়।

এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেতে জানা যায়, রোববার আবারো শিক্ষার্থীদের সড়কে বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ করার কথা ছিলো। সেই লক্ষ্যে তারা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে রাস্তায় নামার চেষ্টাও করে।

এদিকে রোববার সকাল থেকে শহরের প্রায় প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীল সদস্যদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম

Share