চাঁদপুরে সোনালী, অগ্রণী, জনতা, কৃষি ব্যাংকের ৮২ টি শাখায় ৭ শ’ ৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত হিসেবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র কৃষি ব্যাংক জুলাই ও আগস্ট মাসের হিসাব বিবরণী এ প্রতিবেদনে যুক্ত হয়েছে।
চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৩৫ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেনন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স¦জনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে।
চাঁদপুরে উত্তরা, রূপালী, মার্কেন্টাইল, প্রাইম, ডাচ-বাংলা, সিটি, ন্যাশানাল, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল প্রভৃতি ব্যাংকগুলি প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ লেনদেন করলেও চাঁদপুরে এসব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী বিভাগীয় অফিস কুমিল্লা থাকায় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুরের সোনালী, অগ্রণী, জনতা, কৃষি ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রমতে, সোনালী ব্যাংকের ২০ শাখায় চলতি বছরের জানুয়ারি হতে আগস্ট পর্যন্ত ৮২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জুলাই আগস্ট পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় ২শ’৬৮ কোটি টাকা ,অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় ৪শ’৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করেছে ।
চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নী আন্তজ্র্াতিক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এ সব র্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে।
কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে ।
অগ্রণী ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারুল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
জনতা ব্যাংকের ১৭ শাখায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে চাকুরিজীবী খাতে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে । এ পর্যন্ত ৩ শ’৩৪ জন চাকুরিজীবীর মধ্যে ৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জনতা ব্যাংক সরকারি -বেসরকারি স্কুল ,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য প্রকল্পভিত্তিক এ ঋণ প্রদান পদ্ধতি ২০০৪ সালে চালু করে । এটি এ ব্যাংকের একটি শতভাগ লাভজনক খাত ।
১৩% সুদের হারে প্রতি মাসে সরকারি বেতন -ভাতাদি থেকে কেটে রাখা হয় । সমুদয় টাকা ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয় ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি টাকা । অথচ ওই বছর বিতরণ করা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা এবং সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫ শ’ জন ।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘এ ঋণ কর্মসূচিটি চাকুরিজীবীদের জন্য একটি চমৎকার সুয়োগ তৈরি করে দিয়েছে।’
জামানতবিহীন ও খুব সহজভাবে বিশেষ করে বেসরকারি স্কুল ,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীরা ঋণগ্রহণে নিজদের সমস্যার সমাধান করতে পারছে।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০৬ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ