চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ৩৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের মধ্যে ২২ জেলেকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ছয় জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে এবং বাকি পাঁচ অপ্রাপ্তবয়স্ক জেলেকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজ রোববার সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডিত জেলেরা হলেন—মো. হজরত আলী (২২), মরণ আলী (৩৫), জনি (২০), সুমন (৩৫), মো. জালাল (৩৫), ছাদেক (৫০), তাজুল ইসলাম মাঝি (৪০), আবদুল করিম হাওলাদার (৩৫), আমান উল্যাহ মাঝি (২০), জীবন মাঝি (২২), কাউছার মাঝি (২২), শাওন মাঝি (২০), নাজমুল হাসান (১৯), মো. সেলিম মাঝি (৫১), আ. হাকিম মাঝি (২৫), নুর মোহাম্মদ (৩৫), রায়হান (১৮), রুবেল ব্যাপারী (২০), সুফিয়ান তালুকদার (৩৫), মো. ফারুক খান (২০) আল-আমিন (১৮), মো. হাসান (২২)।
মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন—মনছুর গাজী (৩১), হাসান গাজী (২৫), শাহাদাত মাঝি (২০), সাইফুল মিয়া (২৩), শাহীন হাওলাদার (১৯), নাজমুল আখন (২০)।
নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকা থেকে এসব জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেদের বাড়ি চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অভিযানে ৫০ হাজার মিটার সুতার জাল, ১২ লাখ ১ হাজার ৩০০ মিটার কারেন্ট জাল, চারটি মাছ ধরার নৌকা ও ১১৭ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
ওসি মো. কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জব্দ করা কারেন্টজাল মামলার আলামত হিসেবে রেখে বাকী জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। চারটি নৌকার মধ্যে ৩টি নৌকা তলা ছিদ্র করে অকার্যকর করা হয়েছে এবং একটি নৌকা মামলার আলামত হিসেবে নৌ থানা হেফাজতে রাখা হয়। এ ছাড়া জব্দ করা জাটকা স্থানীয় গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৯ মার্চ ২০২৩