বাংলাদেশের সফল ব্যবসায়ী ও শ্রেষ্ঠ করদাতা হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার পক্ষ থেকে চাঁদপুরে পানিবন্ধি বন্যার্ত গরীব-অসহায় পরিবারের মাঝে খ্যাদ্য সহায়তা হিসেবে ১শ’ মে.টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
১২ আগস্ট বুধবার তাঁর নিজস্ব যাকাতের ফান্ড থেকে রাজরাজেশ্বর, উত্তর তারাবুনিয়ায় এবং হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ও বাহেরচরে ১০ হাজার বন্যার্ত পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। হাজী কাউছ মিয়ার প্রতিনিধি মো. দেয়ার হোসেন দর্জি প্রতিটি স্থানে উপস্থিত থেকে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে টোকেনের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেন।
বুধবার সকাল ৯ টায় মেঘনার পশ্চিম পাড়ে হাজী মো. কাউছ মিয়ার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত উত্তর তারাবুনিয়ায় আব্বছ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাউল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উত্তর তারাবুনিয়ায় ইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ সরকার, ইউপি মেম্বার আক্তার আসামী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
একই দিনে রাজরাজেশ্বরে ইউনিয়নে ১হাজার পরিবারের মাঝে চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী হযরত আলী বেপারিসহ সকল ইউপি সদস্য এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
হাজী মোা. কাউছ মিয়ার প্রতিনিধি দেয়ার হোসেন দর্জির জানান, যাকাতের টোকেনের মাধ্যমে পানিবন্ধি ১০ হাজার গরীব-অসহায় পরিবারের মাঝে ১শ’ মে. টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ১ হাজার, উত্তর তারাবুনিয়ায় ৪ হাজার এবং হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ও বাহেরচরে ৫ হাজারসহ সর্বমোট ১০ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,সারা দেশেই যে কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় এমন কি বন্যা পরিস্থিতিতে অসহায়, গরীব-দুঃখি মানুষের জন্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন চাঁদপুরের কৃতিসন্তান হাজী মোঃ কাউছ মিয়া। বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি খাদ্য সহায়তা অব্যহত রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারে তিনি পানিবন্ধি বন্যার্ত মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। হাজী মো. কাউছ মিয়ার এই মানবতার বিরল দৃষ্টান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চাঁদপুরের সকল পর্যায়ের মানুষ।
পতিবেদক:আশিক বিন রহিম,১২ আগস্ট ২০২০