‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ এ শ্লোগানে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী চিরুনি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম এর নির্দেশে জেলার সকল উপজেলার থানা, পুলিশ ফাড়ি এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিয়েছে।
চলমান এই অভিযানে গত ১০ দিনে পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃথক বন্ধুকযুদ্ধে তিন জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও এ পর্যন্ত আটক হয়েছে ৯৯ জন এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমানে নিষিদ্ধ ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে যুগ্ধ ঘোষণার সাথে সাথেই চাঁদপুরে মাদক বিরোধী চিরুনি অভিযান শুরু হয়ে যায়।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম এর নির্দেশে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, হাজিগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, কচুয়া, শাহারাস্তি, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণসহ ৮টি উপজেলাতেই জেলা পুলিশ চিরুনি অভিযানে নামে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ২০ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১০দিনের অভিযানে ৯৯জন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ১৪শ’ ২১ পিস নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি ২শ’ ৯০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৭১টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে অভিযান চলাকালে পুলিশের সাথে পৃথক বন্ধুকযুদ্ধে কচুয়া, মতলব দক্ষিণ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৩জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কচুয়া উপজেলার মাদক ব্যবসায়ী ৫টি মাদক মামলার আসামী বুলবুল, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৭টি মাদক মামলার আসামী সেলিম এবং ফরিদগঞ্জের ১০টি মাদক মামলার আসামী আবু সাইদ ওরফে লাল বাদশা।
এই পৃথক তিনটি বন্ধুক যুদ্ধে আহত হয়েছে ১১জন পুলিশ সদস্য। বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার তিন ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক, ১১টি কার্তুজের খোসা, ৮টি তাজা কার্তুজ ও ৩টি অবিস্ফরিত ককটেল, ১টি স্টিলের চাপাটি এবং ১টি ছোরা উদ্ধা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে পুলিশের এই অভিযান এবং বন্ধুকযুদ্ধে তিন মাদক বিক্রেতা নিহত হওয়া খবর পেয়ে চাঁদপুরের শীর্ষ মাদক বিক্রেতারা গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম