কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সপ্তাহের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার বাসদ (মার্কসবাদী) চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল এর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি পেশ করেন জেলা শাখার অন্যতম সদস্য কমরেড জি এম বাদসা’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।
জেলা প্রশাসক এর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া। বিষয়টি বাসদ (মার্কসবাদী) চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৫ মে জানানো হয় ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল-গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, সকল নাগরিকের জন্য রেশন ব্যবস্থা, লক ডাউন অব্যাহত রাখা, বাড়ি ভাড়া কমানো, বিদ্যুৎ -গ্যাস বিল মওকুফ, গ্রাম-শহরের দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেয়া, করোনা চিকিৎসায় যুক্ত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হাটে হাটে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষক এর কাছ থেকে ধান ক্রয় করা, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ফি মওকুফ -মেস ভাড়া পরিশোধে বিশেষ বরাদ্দ এবং চিকনগুনিয়া-ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
দাবিসমূহ
১. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করো। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত লেখক, সংগঠক, কার্টুনিস্ট ও সাংবাদিকদের মুক্তি দাও।
২. সকল নাগরিকের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে। টিসিবি’র ভ্রাম্যমান বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা চলবে না।
৩. লক ডাউন শিথিল করা চলবে না। দোকান খুলে দেয়ার হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করো।
৪. নাগরিক সংকট বিবেচনা করে বাড়িভাড়া কমানোর জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রজ্ঞাপন দাও। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল মওকুফ কর।
৫. অসংগঠিত শ্রমিক, নিম্ন-আয়ের মানুষ ও মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং নগদ অর্থ প্রদান কর।
৬. গার্মেন্টস শ্রমিক, অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের শ্রমিক এবং পরিবহন শ্রমিকদের সবেতন ছুটি, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ ভাতা নিশ্চিত কর। লে-অফ, শ্রমিক
ছাঁটাই বন্ধ কর। বেতন-ভাতা না দিলে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নাও। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে উৎপাদনে নিয়োজিত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা কর।
৭. ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ চিকিৎসা সেবায় যুক্ত সকলের পিপিই, ঝুঁকি ভাতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত কর। ঢাকার আক্রান্ত এলাকাগুলো বাছাই করে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা কর। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল ও বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি কর।
৮. হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। কৃষকদের বকেয়া কৃষিঋণ মওকুফ ও পরবর্তী ফসল উৎপাদনের জন্য সুদমুক্ত ঋণ দিতে হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি চলাকালীন সময়ে কৃষকদের নগদ অর্থ সহযোগিতা এবং বাড়ি বাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিতে হবে।
৯. সরকারি ও বেসরকারি সকল স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ কর। বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও উৎসব ভাতা প্রদান কর। দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে ছাত্রদের কাছ থেকে মেস ভাড়া নেয়া চলবে না।
১০. ডেঙ্গু ও চিকুগুনিয়া রোধে মশক নিধনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ কর।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি , ১৫ মে ২০২০
এজি