বর্তমান সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’এ শ্লোগান কে সামনে রেখে চাঁদপুরে ১ মার্চ মাস থেকে অতি দরিদ্র ও অসহায় ৫৩ হাজার পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ে মার্চ ও এপ্রিল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সেপ্টেম্বর,অক্টোবর ও নভেম্বর এ ৫ মাস ১০ টাকা কেজির চাল দেয়া হবে। চাঁদপুরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুরের ৮ উপজেলার ৮৮ টি ইউনিয়নে স্ব-স্ব উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তাদের অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী মার্চ ও এপ্রিল এ দু’ মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে ৫৩ হাজার ১শ’৫৬ টি পরিবারের মধ্যে ১শ ২৮ জন সরকারিভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলারের মাধ্যমে ওই চাল বিতরণ করা হবে।
পরিসংখ্যান মতে,চাঁদপুরের ১৪টি ইউনিয়নে ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮ হাজার ৭শ’৩৬ টি পরিবার ,হাজীগঞ্জের ১১ টি ইউনিয়নে ২১ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭ হাজার ২ শ’৬৬ টি পরিবার, ফরিদগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়নে ১৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭ হাজার ৯শ’৯৭ টি পরিবার ,
মতলব দক্ষিণের ৬ টি ইউনিয়নে ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫ হাজার ৩ শ’ ৬৫ টি পরিবার ,মতলব উত্তরের ১৩ টি ইউনিয়নে ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ৬ হাজার ৮শ’ ১৪টি পরিবার, শাহরাস্তিতে ১০ টি ইউনিয়নে ১২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫শ’ ৭ টি পরিবার ,
কচুয়ার ১২ টি ইউনিয়নে ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯ হাজার ৩ শ’১২টি পরিবার এবং হাইমচরের ৬ টি ইউনিয়নে ৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩ হাজার ১ শ’ ৬৮টি পরিবারকে স্ব -স্ব ইউনিয়নে ওই চাল দেয়ার সরকারি নির্দেশ রয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন,‘নিম্ম আয়ের মানুষের আর্থিক সহযোদিতা জন্যেই সরকার ১০ টাকা কেজির চাল দেয়ার উদ্যোগ নেয় ।’
প্রসঙ্গত, এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা করে (প্রতি কেজি) প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার । সেপ্টেম্বর,অক্টোবর, নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এ পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হয়।
সর্বপ্রথম ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্যে একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন। কর্মসূচির নাম দেয়া হয় ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’।
প্রতিবেদক :আবদুল গনি
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৮:১৫ পিএম,২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,সোমবার
এইউ